পটল কিনতে গিয়ে যেন পটল তোলার জোগাড়। অল্প কয়েকদিনের ব্যবধানে পটলের দাম করেছে সেঞ্চুরি, সাতদিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ২০ টাকা। ঢেঁড়শের দাম হয়েছে ১২০, গাজর ১৬০, কাঁকরোল ১০০ আর করলা, মূলা, লাউ ছুঁয়েছে ৮০ টাকা। আমিষ ছাড়িয়ে দীর্ঘশ্বাস এখন সবজির বাজারে।
একতজন ক্রেতা বলেন, 'একটা কদু নিলাম, আগে এরকম এটা কদু নিতাম ৫০ টাকা। আর এখন আজকে সেই কদু নিলাম ১০০ টাকা। গরীব মানুষ খাবে কীভাবে?'
এমন অবস্থায় বাজার নিয়মিত বাজার তদারকিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিম অভিযান চালায় রাজধানীর সাদেক খান পাইকারি সবজির বাজারে। কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখে যাচাই করেন ক্রয় বিক্রয় রসিদ। তবে এমন অভিযানকে দায়সারা বলছেন বাজারে আসা ক্রেতারা।
একজন ক্রেতা বলেন, '৪০ টাকা দামের পটল এখানে চাইতেছে ১৫০ টাকা। মানটরিংয়ে এরা আসে এসে এরা শুধু দৌঁড়ের ওপর থাকে। আমাদের এখানে বাজারের মনিটরিংয়ের কোনো কাজ হয় না।'
সাম্প্রতিক বন্যার অযুহাতে বাজারে সবজির দাম চূড়ায় উঠলেও শুধু রসিদ যাচাইয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কতটা সম্ভব বা সিন্ডিকেট চিহ্নিতের অগ্রগতি কতটা? এসব প্রশ্নের উত্তরে মনিটরিং টিম জানায়, জেলা ও ঢাকার পাইকারি বাজারে দামের পার্থক্য থেকে তারা বুঝতে চাইছেন দামের যৌক্তিকতা। যেখানে কৃষক বা উৎপাদকের কাছে পৌঁছায় সামান্যই।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শরীফ রায়হান কবির বলেন, 'বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যে অ্যাক্টিভিটিজ আপনারা জানছেন যে কার্যকরী ভিজিবল যে উদ্যোগ চলছে তার ফলে খুব শিগগিরই আমরা বিশ্বাস করছি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এবং শীতের সবজির সময় এটার দৃশ্যমান পরিবর্তন আমরা দেখবো।'
সবজির বাজার মনিটরিং শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি সাধারণ ভাতের হোটেলে অপরিচ্ছন্নতার দায়ে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে।