সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনেকেরই চেষ্টা থাকে সকাল সকাল বাজার সেরে নেয়া। তবে দাম নিয়ে স্বস্তি নেই।
চট্টগ্রামে সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। এর মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ঝিঙা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা ও টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৫০ টাকা কেজি। এছাড়া অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের। বাজারে প্রতি কেজি কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। একই সঙ্গে আঁটিতে ৫-১০ টাকা বেড়েছে সব ধরনের শাকের দাম।
এদিকে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে খুলনায় দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। তবে অপরিবর্তিত আছে রসুনের দাম। কেজিতে গুনতে হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা। আর চায়না রসুন ২৪০ টাকা। এ ছাড়া কোরবানি ঈদে চাহিদা বাড়ে চুই ঝালের। বাজারে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা দরে। বিভিন্ন প্রকার শাকের দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত বেশ কিছু সবজির দাম।
একদিকে সাগরে চলছে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা। অন্যদিকে বন্যার কারণে কমেছে সরবরাহ। সব মিলিয়ে বাজারে কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে সব ধরনের মাছের দাম। এছাড়া চাঁদপুরের বাজারে ইলিশের সরবরাহ বাড়ায় কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন ক্রেতারা। এক কেজি আকারের ইলিশ কিনতে ক্রেতাদের গুণতে হচ্ছে ১৫০০ টাকা।
তবে চাষ করা মাছের সরবরাহ বৃদ্ধি পেলেও দাম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই। ক্রেতাদের অভিযোগ, কোরবানি ঈদের পর মাছ ও সবজির চাহিদা সাধারণত বেশি থাকে। আর চাহিদাকে পুঁজি করে দাম বাড়িয়েছেন বিক্রেতারা।
এক ক্রেতা বলেন, 'সবজি ও মাছ সব কিছুর দাম বাড়তি। আমাদের আর বাজার করে খাওয়ার ক্ষমতা নাই। কাঁচা মরিচের দাম অনেক বেশি।'
বিক্রেতারা বলেন, একদিকে ঈদের পরে ক্রেতার সংখ্যা কম। অন্যদিকে টানা বৃষ্টি ও কয়েকটি জেলায় বন্যার কারণে সরবরাহ কমেছে। এসব কিছুর প্রভাব পড়েছে সবজির বাজারে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দাম কমে আসতে পারে।
সবজি ও মাছের দামে কিছুটা বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে গরুর মাংসের দাম। এছাড়া কেজিতে ২০-৩০ টাকা কমে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে সোনালি ৩৩০-৩৪০ টাকায়।