কাঁচাবাজার
বাজার
0

গরম আর লোডশেডিংয়ে খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজারে নষ্ট হচ্ছে কাঁচামাল

তীব্র গরমে জনজীবনে হাঁসফাঁস। বিশেষ করে ঘিঞ্জি ও কর্মব্যস্ত পরিবেশে তাপমাত্রা আরও কিছুটা বেশি অনুভূত হয়। খাতুনগঞ্জ তেমনি এক এলাকা। যা দেশের অন্যতম বৃহৎ ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার।

দেশের অন্যতম ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে গরমে কাঁচামাল নষ্ট হচ্ছে। আড়তে ঢোকার পর সপ্তাহখানেক সংরক্ষণ করা গেলেও গরমে ২-৩ দিনেই পণ্যের গুণগত মান কমছে। এদিকে গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং। এতে প্রভাব পড়ছে পণ্যের দামে।

গরমে এখানকার কাঁচামালের আড়তদাররা পড়েছেন চরম বিপাকে। কারণ বেশিরভাগ কাঁচামালই সংরক্ষণ করতে হয় ঠাণ্ডা ও আলো বাতাস চলাচল করতে পারে এমন স্থানে। তবে গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোডশেডিং। দিনে ঘন্টার পর ঘন্টা বন্ধ থাকছে পণ্যে বাতাস সরবরাহকারি পাখা। ফলে কমছে পণ্যের আয়ু।

পেঁয়াজ ব্যবসায়ী একজন বলেন, 'যেভাবে লোডশেডিং হচ্ছে সেভাবে আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে বাতাস দিতে পারছি না পেঁয়াজে। ফলে পেঁয়াজ পচে যাচ্ছে।'

শুধু মেয়াদ কমছে তা-ই নয়। গরমে ঘেমে পানি বের হয়ে পণ্য নষ্টের উপক্রম হচ্ছে। এতে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় কাঁচামাল সপ্তাহ খানেক মজুত করা গেলেও এখন তা তিন থেকে চারদিন মজুত করতে পারছেন।

খাতুনগঞ্জ এএইচ ট্রেডার্সের ম্যানেজার রাজিব ঘোর বলেন, 'আমাদের একটা গাড়ি থেকে পণ্য নামলে সেটা দুই-তিন দিন থাকতো। এখন একদিনেই ঘেমে যাচ্ছে। লোডশেডিং বেশি হচ্ছে বিদায় পণ্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আদা শুকিয়ে যাচ্ছে বেশি। গরম বেশি পড়লে এমন হয় ফলে ওজনও কমে যাচ্ছে।'

আমদানি পণ্য রসুন আসে এসি কন্টেইনারে। এটিও ঠিকভাবে সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না। তীব্র গরমে বিকল্প ব্যবস্থা করতে না পারায় বিপাকে আড়তদাররা।

খাতুনগঞ্জের মেসার্স বরো আউলিয়া বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী জয়নাল আবেদীন জসিম বলেন, 'যখন অতিরিক্ত গরম পড়ে তখন পণ্যের স্থায়িত্ব কমে যায়। ফলে পণ্য নষ্ট হলে বাজার বাড়ে না সেটা কমে বিক্রি করতে হয়। এতে ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্থ।'

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ ৫৫-৬০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৬২-৬৪ টাকা, আদা ১৮০-১৮২ টাকা এবং রসুন ১৮৮-১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এরই মধ্যে পেঁয়াজে ২-৫ টাকা, আদায় ১০ টাকা কমেছে। তবে অপরিবর্তিত আছে রসুনের দাম।

ইএ