দেশের ভোগ্য পণ্যের বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ। বছরজুড়েই ব্যস্ততা থাকে এ বাজারে। তবে রোজার আগে বেচাকেনা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। অভিযোগ রয়েছে এ সময় চাহিদাকে পুঁজি করে অস্বাভাবিক দাম বাড়িয়ে দেয় ব্যবসায়ীরা।
রোববার (১০ মার্চ) রমজানের আগে বাজার মনিটরিং এ নামে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।
শুরুতে খাতুনগঞ্জের বৃহত্তম চিনির পাইকারি প্রতিষ্ঠান আর এম ট্রেডার্স ও নাবিল গ্রুপে গিয়ে অসঙ্গতি পায় তারা। এসময় ক্রয় বিক্রয়ের রশিদ দেখাতে না পারায় প্রতিষ্ঠান দুটিকে জরিমানা করা হয় ৮০ হাজার টাকা।
এরপর অভিযান পরিচালনা করা হয় মসলার বাজারে। এসময় এবি ট্রেডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানে অস্বাভাবিক মূল্যে এলাচ বিক্রির সত্যতা মেলে। জরিমানা করা হয় ৪০ হাজার টাকা।
চট্টগ্রামের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, '১৬০০-১৭০০ টাকা সর্বোচ্চ বিক্রয়মূল্য হওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে এলাচ বিক্রি হচ্ছে ২২০০-৩১০০ টাকা। তিনি আমাদের কাছে অঙ্গীকার করেছেন এরপর থেকে ১৭০০-২২০০ টাকার মধ্যে বিক্রি করবেন। তাহলে বাজারের অন্যান্যরাও দাম কমাবে।'
এদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে খাতুনগঞ্জের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীরা বলছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী রমজানের আগে ভারতীয় পেঁয়াজ দেশের বাজারে আসার কথা থাকলেও এখনো পৌঁছায়নি খাতুনগঞ্জের বাজারে। চাহিদার বেশিরভাগ যোগান দেয়া দেশিয় পেঁয়াজও প্রায় শেষের দিকে। বাজারে দেশিয় পেঁয়াজ পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৮৫-৯৫ টাকা আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১৫- ১২০ টাকায়।
বিক্রেতারা বলেন, 'রমজানে সবাই একসাথে সারা মাসের বাজার করে ফেলে তাই চাহিদা বেড়ে যায়। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম আগের মতোই আছে।'
দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ২৬-২৮ লাখ টন যেখানে শুধুমাত্র রমজান মাসে চাহিদা রয়েছে ৪ থেকে সাড়ে চার লাখ টন।