যদিও গেল বছরের শেষের দিকে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানোতে ডিসেম্বরে সারাদেশের বাজারে উঠতে শুরু করে মুড়িকাটা পেঁয়াজ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে এই মৌসুমে কমপক্ষে ৮ লাখ টন মুড়িকাটা পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। আর মূল পেঁয়াজ মিলিয়ে উৎপাদন হতে পারে প্রায় ২৬ লাখ টন। অথচ প্রতিমাসে দেশে পেঁয়াজের চাহিদা দুই লাখ টনের সামান্য বেশি। সেই হিসেবে এখন পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিকে অযৌক্তিক বলছেন ক্রেতারা।
ক্রেতারা বলেন, ‘এখন যদি পেঁয়াজের দাম ১২০ টাকা হয়। তাহলে অন্য সময় তো দাম হবে ৫০০ টাকা। এখন দাম হওয়া উচিত ছিলো ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। এই সিন্ডিকেটকে আগে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এজন্য সরকারের পদক্ষেপ দরকার।’
পেঁয়াজের মৌসুম শুরুর দিনগুলোতে ৪০ টাকার বেশি দামে কখনও পেঁয়াজ বিক্রি করেননি কারওয়ান বাজারের বিক্রেতারা। সেখানে গত সপ্তাহে ৮০ থেকে ৯০ টাকার পেঁয়াজ দুইদিনের ব্যবধানে পৌঁছেছে ১১০-১২০ টাকায়। খুচরা ব্যবসায়ীরা দায় চাপাচ্ছেন মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের ওপর।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যবসা হলো সিন্ডিকেটের ব্যবসা। ভরা মৌসুম চলতাছে, মানুষের এখন ৪০ টাকা কেজি পেঁয়াজ খাওয়ার কথা। বড় বড় ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ মজুত করে রাখে, তারপর বাড়িয়ে বিক্রি করে।’
এদিকে স্বস্তি নেই মাংসের বাজারে। গরুর মাংসের দাম আবারও কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে। ৭৩০-৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির দর ২০০-২১৫ টাকা। সপ্তাহান্তে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে অন্যান্য প্রাণিজ আমিষের দাম। ডিমের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।
এদিকে রমজানে কোন পণ্যের সংকট হবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল হক টিটু। তিনি বলেন, 'যেসব দ্রব্যের সংকট হয় সেগুলো আমরা মজুত করার চেষ্টা করবো এবং পণ্য আমদানি করে টিসিবির মাধ্যমে ভোক্তাদের কাছে পৌঁছাতে পারলে তারা উপকৃত হবে।'
চাহিদা-যোগানের অনুপাত ঠিক থাকলেও অযৌক্তিকভাবে যেন নিত্যপণ্যের দাম না বাড়ে সেই প্রত্যাশা ভোক্তাদের।