আমদানির পরেও অস্থির পেঁয়াজের বাজার; কমতে শুরু করেছে সবজির দাম

শীতকালীন সবজি
শীতকালীন সবজি | ছবি: এখন টিভি
1

দাম নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে আমদানির পরেও প্রভাব নেই পেঁয়াজের খুচরা বাজারে। নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজও একশো টাকার বেশি। পুরানো পেঁয়াজ কিনতে চাইলেও ১৩০ টাকার বেশি গুনতে হচ্ছে ক্রেতাকে। তবে শীতের আমেজ শুরু হতেই বাজারে কমতে শুরু করেছে সবজির দাম।

আমদানি করে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা হলেও তার প্রতিফলন নেই রাজধানীর কারওয়ান বাজারে। দাম এখনও বাড়তি। যদিও নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে। যার কেজি ১০০ থেকে ১১০ টাকা। পুরানো পেঁয়াজের দাম আরও বেশি, কেজি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। বিক্রেতারা জানান, নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লে দাম কিছুটা কমতে পারে।

বিক্রেতারা জানান, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১১৫ টাকা কেজি, ১১০ টাকা কেজি। গেরস্থরা অল্প অল্প পেঁয়াজ তোলে, ৮৫ টাকায় বিক্রি কিনতে হচ্ছে তাদের। বাজারে নতুন পেঁয়াজ না ওঠায় পেঁয়াজের দাম বেশি। আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসতে।

ক্রেতারা জানান, তাদের ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে পেঁয়াজের দাম চলে গেছে। পেঁয়াজ কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

বাজারে সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে শীতের সবজির। দামও কিছুটা কম। কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের চেয়ে ফুলকপি ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে।

আরও পড়ুন:

এছাড়া শিম ৪০, শসা ৬০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমেছে নতুন আলুর দামও। কয়েক দিন আগে নতুন আলুর দাম এক শ’ টাকার ওপরে থাকলেও সরবরাহ বাড়ায় কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়। তবে পুরনো আলুর দাম কম। কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা।

বিক্রেতারা জানান, আলুর দাম অনেক কমেছে। বাজারে নতুন আলু উঠেছে ফলে আলুর দাম অনেক কম।

ক্রেতারা জানান, গত সপ্তাহে যে দাম ছিলো এ সপ্তাহে তুলনামূলক আরও দাম কম মনে হচ্ছে তাদের। এ রেটটি সবসময় থাকলে ক্রেতারা খুশি থাকবে বলে জানান তারা।

সবজির মতো প্রায় একই চিত্র মাছের বাজারেও। কমেছে প্রায় সব ধরনের মাছের দাম। রুই, কাতলা, মৃগেল বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা। তবে মাছের রাজা ইলিশের দাম এখনো হাঁকানো হচ্ছে ২৪০০ থেকে ২৬০০ টাকা।

এফএস