গরুর মাংসের দোকান ঘিরে ক্রেতার ভিড়। ব্যস্ত দোকানির দম ফেলার ফুরসত নেই। যেকোনো উৎসব পার্বণে চট্টগ্রামের ভোজন রসিক মানুষের প্রথম পছন্দ থাকে গরুর মাংস। মেজবান, কালাভুনো আর ওরশ স্টাইলে গরুর মাংস রান্না হয় বাসাবাড়ি, দোকানপাটে। দেশে সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ উল ফিতর কেন্দ্র করে তাই চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ।
বাজারে হাড়সহ প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা, আর হাড়ছাড়া মাংস কিনতে গুণতে হচ্ছে ৯০০-১০০০ টাকা। তবে লাগামহীন বেড়েছে মুরগির মাংসের দামে। চাহিদা বেশি থাকায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২৫ টাকায়, সোনালি ৩৩০ টাকা আর দেশি-মুরগি ৫৫০ টাকায়। খামারিরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ বিক্রেতাদের।
বিক্রেতাদের একজন বলেন, ‘বিক্রি অনেক হচ্ছে ঈদ সামনে রেখে তবে দাম একটু বেশি। মানুষজন তাও কিনছে।’
এছাড়া ঈদে নানা পদের সাথে সালাদের চাহিদা থাকে খাবারের পাতে। তাই শসা, গাজর, লেবু, ধনিয়াপাতারর দামও বেশ চড়া। সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০ টাকার খিরা দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০ টাকায়, ২০ টাকার গাজর বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা। কমেনি লেবুর দামও। সবজির দামও বাড়ছে ধাপে ধাপে।
বিক্রেতাদের একজন বলেন, ‘এখন দাম বেড়ে গিয়েছে। আর কত?’ ক্রেতাদের একজন বলেন, ‘ঈদ হিসেবে ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দিয়ে কিনছি।’
পুরো রমজানে সবজি, মাংস এবং ভোগ্যপণ্যের দামে উর্ধ্বগতি না থাকায় স্বস্তি ছিল জনমনে। ঈদেও যেন বাজার স্থিতিশীল থাকে সে লক্ষে বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানিয়েছেন ক্রেতারা।