অর্থনীতি
বাজার
0

মোংলায় জনপ্রিয়তা বাড়ছে দিগরাজ হাটের

মোংলায় স্থানীয়দের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে দিগরাজ হাট। সপ্তাহে দুইদিন বসা এই হাটে নিজেদের পণ্য নিয়ে ভিড় করেন স্থানীয় চাষিরা। মূলত সতেজ ও কম দামে জিনিস পাওয়া যায় বলে ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় এই হাট। বিক্রেতারা বলছেন, প্রতি হাটে বেচাকেনা হয় ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা। আর এখান থেকে বছরে ১৮ লাখ টাকার রাজস্ব পাচ্ছে সরকার।

মোংলার বুড়িডাঙ্গা ইউনিয়নের এই হাট সপ্তাহে দু'দিন প্রায় আধা কিলোমিটার জায়গা জুড়ে বসে। আড়াই যুগেরও বেশি সময় ধরে বসছে উপজেলার সবচেয়ে বড় এই হাট।

বেচাকেনা ভালো হওয়ায় দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে এখানে ভিড় করেন পাইকাররা। একই সঙ্গে নিজের খেতের ফসল নিয়ে হাজির হন কৃষকরা। বিক্রেতারা জানান, প্রতিদিন ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকার বেচাকেনা হয় তাদের।

এক বিক্রেতা বলেন, 'সপ্তাহে দুইদিন হাট এখানে। ৪০ হাজার টাকার মতো বেচা কেনা হয় আবার কোনোদিন পণ্য থেকে যায়।'

আরেকজন বলেন, 'নিজের চাষ করা সবজি এই হাটে এনে বিক্রি করি। এতে আমার হাজার দশেক টাকার মতো বিক্রি হয়।'

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বাজারে সবজি কিনতে গুণতে হয় বাড়তি দাম। তবে কৃষকরা সরাসরি এই হাটে পণ্য নিয়ে আসায় সস্তায় সতেজ পণ্য পাওয়া যায় এখানে। তাই ভোর থেকেই এখানে ভিড় বাড়ে ক্রেতাদের।

ক্রেতারা বলেন, 'হাটের দিন যদি আমি বাজার করি তাহলে আমি কিছুটা কম দামে জিনিসগুলো কিনতে পারি। স্থানীয় বাজার থেকে বেশি দামে কিনতে হয়।'

এদিকে হাট ইজারাদার মো. সোবাহান মিয়ার তথ্য মতে, এখানে প্রতি হাটে বসে প্রায় ১৫০টি দোকান। আর একদিনে মোট বেচাকেনা হয় ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার।

১৯৯০ সালে শুরু হয় এই হাটের যাত্রা। শুধু টাটকা শাকসবজি নয়, মাছ-মাংস কাঁকড়াসহ বৈচিত্র্যপূর্ণ তাজা খাবারের জন্য স্থানীয়দের কাছে জনপ্রিয় এ বাজার।

ইএ