রমজানের আগে ভোজ্যতেলের মূল্য সহনীয় রাখতে সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১০ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। খোলা তেল খুচরায় ১৪৯ টাকা ও বোতলজাত ১৬৩ টাকায় বিক্রির নির্দেশনা দেয় তারা। যা ১ মার্চ থেকে কার্যকর হয়েছে।
কারখানা পর্যায়ে সরকারের বেঁধে দেয়া দামের সাথে মিল রেখে তেল উৎপাদন হচ্ছে কিনা তা দেখতে অভিযানে নামে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
তারা সকালে চট্টগ্রামে এস আলম ও সিটি গ্রুপের মালিকানায় থাকা দুটি ভোজ্যতেলের কারখানায় ঝটিকা পরিদর্শনে যায়। এসময় দুটি কারখানায় সরবরাহ ও দাম নিয়ে কোনো অসঙ্গতি ধরা পড়েনি।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আনিছুর রহমান বলেন, 'সরকার নির্ধারিত দাম বাস্তবায়নে তাদের (কারখানা) কার্যক্রম চলমান আছে। আমরা যাচাই বাছাই করে দেখেছি। আশা করছি কাল থেকে সরকার নির্ধারিত দাম বাজারে বাস্তবায়িত হবে।'
উৎপাদনে কোন ঘাটতি না থাকায় রোজায় সংকটের কোন শঙ্কা নেই বলে দাবি কারখানাগুলোর।
ভিওটিটি-বি কমপ্লেক্সের জিএম আবদুল করিম বলেন, 'সরকার থেকে যে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া আছে; আমরা সে দামেই বিক্রি করছি। আশা করছি বর্তমানে যে মজুত আছে এতে বাজারে কোন সংকট হবে না।'
প্রাথমিকভাবে কোন অনিয়ম না পেলেও কারখানা দুটির গত কয়েক সপ্তাহের উৎপাদন ও সরবরাহের পূর্ণাঙ্গ তথ্য চেয়েছে ভোক্তা অধিকার।
এদিকে ভোজ্যতেলের মিলে বিশেষ তদারকির অংশ হিসেবে কেরাণীগঞ্জে বসুন্ধরা এডিবল অয়েল মিল পরিদর্শন করে ভোক্তা অধিদপ্তর।
ঢাকা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, 'পহেলা মার্চ থেকে নতুন দরের ভোজ্যতেল বাজারে আসার কথা থাকলেও তা আসে নাই। এ বিষয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন রয়েছে। কর্তৃপক্ষ হয়ত এর উত্তর দিবেন।'
আগের দামে কাঁচামাল কেনায় দাম কার্যকরে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে বলে দাবি করেন বসুন্ধরা গ্রুপ ফুড ডিভিশন অ্যান্ড এলপি গ্যাস লিমিটেডের বিপণন প্রধান মো. রেদওয়ানুর রহমান। বলেন, 'গতকাল থেকে নতুন দামের উৎপাদিত তেল এসেছে। নতুন দামেই তেল বিক্রি হচ্ছে।'
রোজায় দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা থাকে ৩ লাখ টন আর বছরে চাহিদা ২২-২৪ লাখ টন।