তিন বছরে বিশ্ববাজারে চিনির দাম বেড়েছে তিনগুণ

0

দেশে চিনির চাহিদা ২০ থেকে ২২ লাখ টন, যা দিন দিন বাড়ছে। আমদানিনির্ভর এ পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার ২০২০ সালের পর থেকে ধীরে ধীরে অস্থির হতে থাকে।

গত তিন বছরে বিশ্ববাজারে চিনির দাম বেড়েছে তিনগুণ। ২০২০ সালের এপ্রিলে চিনির গড় দাম ছিল প্রতি কেজিতে ২২ সেন্ট। এরপর ২০২১ সালের এপ্রিলে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩১ সেন্টে। ২০২২ সালে ৪২ সেন্ট এবং ২০২৩ সালের নভেম্বরে প্রতি কেজি চিনির বৈশ্বিক দাম দাঁড়ায় ৫৭ সেন্টে।

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি চিনি উৎপাদনের দেশ ব্রাজিল, এরপর আছে ভারত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ চিনির উৎপাদন কমে যাওয়া ও দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। এছাড়া বিশ্বব্যাপী জ্বালানী তেলের দাম বাড়ায় বায়োফুয়েল হিসেবে ইথানলের চাহিদা বাড়ে। আর ইথানল আখ থেকে তৈরি হয়। এতে সংকট আরও ঘনীভূত হয়। সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম কমায় চিনির উৎপাদন বেড়েছে।

খাতুনগঞ্জের আরএম ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী শাহেদুল আলম বলেন, ‘১৫ থেকে ২০ দিন পর যদি চিনি আসে তাহলে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে দেশের বাজারেও চিনির দাম কমবে।’

২০২০ সালে দেশে চিনির দাম ছিল প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। ২০২১ সালে ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা, ২০২২ সালে দাম প্রথমবারের মতো শতক ছাড়িয়ে যায়। আর ২০২৩ সালের শেষে এসে চিনি কিনতে গুণতে হয় ১৪০ টাকা।

এদিকে চলতি বছরের ৬ নভেম্বর বিশ্ব বাজারে চিনির দাম ওঠে প্রতি টন সর্বোচ্চ ৭৫৭.৮০ ডলারে। যা ২০১১ সালের পর সর্বোচ্চ। বর্তমানে কিছুটা কমে দাম ওঠানামা করছে টনপ্রতি ৬০০-৬৭০ ডলারে।

খুচরা বিক্রেতা ওমর ফারুক বলেন, ‘পাইকারি বাজারে বলা হয়, চিনির দাম বেশি। আর আমাদের বেশি দামে কিনতে হয়, তাই বেশি দামে বিক্রি করি।’

ভারত বড় রপ্তানিকারক দেশ হলেও অভ্যন্তরীণ সরবরাহ রাখতে চিনি রপ্তানি সীমিত রেখেছে। তবে বাংলাদেশে ভারত থেকে চিনি না আসায় দেশের বাজার ব্রাজিলের চিনির ওপর নির্ভর করে।