টিপস
জীবনযাপন
0

ব্যায়ামের সময় যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকা খুব জরুরি

শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক প্রশান্তি দেয়ার ক্ষেত্রেও ব্যাপক ভূমিকা রাখে ব্যায়াম। স্বাস্থ্য ভালো রাখা ও অতিরিক্ত ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরী উপায় এটি। নিয়মিত ব্যায়ামে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে। সেই সাথে ওজনের ভারসাম্য রক্ষা ও পেশি গঠনসহ অনেক জটিল রোগ থেকে বাঁচা যায়।

গবেষণা বলছে, ব্যায়ামের ফলে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে, বিষণ্ণতা কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রেও এটি বেশ সহায়ক। নিয়মিত ব্যায়াম আরামদায়ক ঘুমের বেলায়ও কার্যকরী। তবে ব্যায়াম শুরু করার আগে কিছু বিষয় জেনে রাখা জরুরি।  

স্বাস্থ্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা

ব্যায়াম শুরুর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে ভালো। বিশেষ করে যারা ভারী জিনিস ওঠানোর মতো ব্যায়াম করার পরিকল্পনায় আছেন, তারা চেষ্টা করবেন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে। নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার কী ধরনের ব্যায়াম করা দরকার।  

অভ্যাস হিসেবে গড়ে তোলা

ব্যায়ামকে অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। প্রতিদিন একই সময়ে ব্যায়াম করলেও দ্রুত তা অভ্যাসে পরিণত হয়। মাঝারি গতিতে দৌড়ানো কিংবা দ্রুত হাঁটা, সাইক্লিং, জগিং, দৌড়ানো- সপ্তাহে কোনদিন কোন কাজটি করবেন সেটার তালিকা করে ফেলুন।

আমরা অনেকেই প্রতিদিন ব্যায়ামে অভ্যস্ত নই। এ কারণে শুরুর দিকে কিছুটা অস্বস্তি লাগতে পারে বা শরীর ব্যথা হতে পারে। এমন হলে একটানা ব্যায়াম না করে কিছু সময় বিশ্রাম নিন। নইলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। একবার অসুস্থ হলে ব্যায়াম করা থেকে আপনার আগ্রহ কমে যেতে পারে। তাই শুরুতেই খুব বেশি সময় না নিয়ে ধীরে ধীরে একে অভ্যাসে পরিণত করুন।

টার্গেট সেট করা

নিয়মিত ব্যায়াম করার ব্যাপারে মনস্থির করে ফেলার পর আপনার দরকার একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা। যাতে এমন টার্গেট সেট করা থাকবে, যা আপনার পক্ষে সত্যিই অর্জন করা সম্ভব। শুরুতেই ছোট ছোট টার্গেট সেট করে নিলে, পরবর্তীতে শরীর অভ্যস্ত হয়ে গেলে ধীরে ধীরে টার্গেট বড় করতে হবে। 

যথেষ্ট পানি পান করুন

শরীরে পানির ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা খুবই জরুরী। টানা ব্যায়াম করার সময় শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যেতে পারে। তাই ব্যায়ামের মাঝে মাঝে পানি পান হবে। এতে ক্লান্তি কিছুটা দূর হবে।

 পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ

ব্যায়ামের পাশাপাশি পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। শরীর যথেষ্ট শক্তি পেতে এবং সেইসঙ্গে ব্যায়ামের সুফল পেতে সঠিক খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যেমন- পেশির ব্যায়ামের পূর্বে শর্করা গ্রহণ করলে যথেষ্ট শক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও ব্যায়াম শেষে পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।

 ওয়ার্মআপ করুন

ব্যায়াম শুরুর আগে ওয়ার্মআপ করে নেওয়া খুবই দরকারি। হালকা ওয়ার্মআপ আপনাকে ইনজুরি থেকে দূরে রাখবে, সেইসঙ্গে কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে। শরীরের সহনশীলতা বাড়াবে এবং ব্যথা কমাবে। হাত পা নাড়ানো, দৌড় শুরুর আগে হালকা হেঁটে নেওয়া- এরকম সাধারণ কিছু কাজের মাধ্যমে ওয়ার্মআপ করতে পারেন।

 বিশ্রাম নিন

ব্যায়ামের মাঝে কিছুটা বিশ্রাম নিতে হবে। এতে শরীর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। কয়েক মিনিটের জন্য শান্ত হয়ে বসলে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়ে আসে এবং পেশির ক্লান্তি কমে।