ঢাকের শব্দ মনে করিয়ে দেয় মা আসছে। এবার দেবী দুর্গা মর্ত্যে এসেছেন গজে যা সকলের জন্য বয়ে আনবে সুখ ও সমৃদ্ধি।
ময়মনসিংহে দুর্গাপূজার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরির কারিগর ও মণ্ডপ সংশ্লিষ্টরা। প্রতিমার গায়ে রঙ তুলির আঁচড় আর নতুন কাপড় জড়ানোর কাজ প্রায় শেষ। কারখানা থেকে প্রতিমা নেয়া হচ্ছে মণ্ডপে মণ্ডপে। মন্দির-মণ্ডপসহ ঘরে ঘরে চলছে পূজার প্রস্তুতি।
জেলায় এবছর ৭৮১টি পূজামণ্ডপে হবে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হবে। এর মধ্যে সিটি করপোরেশনে রয়েছে ৮৮টি পূজামণ্ডপ। শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনে ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘দুর্গাপূজা আমাদের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান। সেজন্য আনন্দটা একটু বেশি।’
অন্য একজন বলেন, ‘সবার মনের মধ্যেই এখন আনন্দ বিরাজমান। সবাই আনন্দে আছেন।’
দায়িত্বরত একজন আনসার সদস্য বলেন, ‘২৭ তারিখ পর্যন্ত চারজন ডিউটি করছি। কাল থেকে আরও চারজন যুক্ত হবে। মোট আটজন আমরা বিসর্জনের আগ পর্যন্ত ডিউটি করবো সার্বিক নিরাপত্তার জন্য।’
আরও পড়ুন:
এদিকে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বসেছে ৪০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী ঢাকের হাট। পঞ্চমী থেকে ষষ্ঠী পর্যন্ত চলে এ হাট। যেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন ঢাকী ও বাদ্যযন্ত্র বাদকরা। গত বছরের চেয়ে এবারে পূজা মণ্ডপের সংখ্যা বাড়ায় ঢাকিরা বেশ ভালো দাম পাচ্ছেন।
ঢাকিদের মধ্যে একজন বলেন, ‘গত বছর আটজন গেছিলাম ৭০ হাজার টাকা দিয়ে। এবার চাহিদাটা বেশি। ভালো টাকা পাবো আশা করি।’
এদিকে বগুড়ায় চলছে পূজার উপকরণ কেনাকাটা। নারিকেল, নাড়ু, মুড়ি-মোয়া, ও দই মিষ্টির দোকানে বেড়েছে ভিড়। তবে ক্রেতারা জানান, গত বছরের চেয়ে এবারে সব জিনিসের দামই বেশি।
ক্রেতাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘নারকেলের দাম ১৩০ থেকে ১৪০ টকা। সব জিনিসেরই দাম বেশি।’
এবারে ভক্তদের আশা মা সকলের মনের আশা পূরণ করবে আর দেশের জন্য বয়ে আনবে সুখ ও সমৃদ্ধি।





