দেশে এখন
0

কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পর্যটন কেন্দ্র এখন নেত্রকোণার গলার কাঁটা

আবাসন সংকটের কারণে পিছিয়ে নেত্রকোণার পর্যটন খাত। সরকারিভাবে কোটি কোটি টাকা খরচে একটি পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ হলেও তা যেন এখন গলার কাঁটা। স্থানীয়রা বলছেন পর্যটন এলাকা বাদ দিয়ে জনশূন্য হাওরে পর্যটন কেন্দ্রিক উন্নয়ন সুফল আনবে না। আর কেন্দ্রটির দায়িত্বরতরা বলছেন, ঋণ নিয়ে কোনো রকমে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

পাহাড়, নদী আর হাওরের জেলা নেত্রকোণা। এখানকার সাদা মাটির পাহাড় আর স্বচ্ছ পানির নদী সোমেশ্বরীর পরিচিতি দেশব্যাপী। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা এখানে আসেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগে।

নেত্রকোণার যোগাযোগ ব্যবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও আবাসন সুবিধার অভাব ভোগাচ্ছে পর্যটকদের। সে কথা মাথায় রেখে পর্যটন করপোরেশন একটি ভবন নির্মাণ করলেও তা থেকে সুবিধা পাচ্ছেন না পর্যটকরা।

২০১৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর পর্যটক ভবনটি নির্মাণে কাজ শুরু করে ঢাকার বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স সামস-ইঞ্জিনিয়ারিং। ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বরে এর উদ্বোধন করা হয়।

৩ তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট দুই তলা ভবনটিতে একটি ভিআইপিসহ মোট ৭টি কক্ষ, রেস্তোরাঁ, পুকুর, কার পার্কিংসহ রয়েছে নানা সুবিধা। এত কিছুর পরও গত এক বছরে এর ৭টি কক্ষ ভাড়া হয়েছে মাত্র ৬৮বার।

নেত্রকোণা-৪ আসনের সাবেক এমপি ও সাবেক প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের ছোট ভাই সাজ্জাদুল হাসানের গ্রামের বাড়ি আদর্শনগরে তৈরি করা হয়েছে পর্যটন কেন্দ্রটি।

যেখানে বর্ষাকালে হাওরের পানি দেখতে গুটিকয়েক পর্যটক এলেও সারা বছরই থাকে জনমানব শূন্য। ফলে উদ্বোধনের পর থেকেই লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে চলছে প্রতিষ্ঠানটি।

পর্যটন এলাকা বাদ দিয়ে জনশূন্য হাওরে নির্মিত কোটি টাকার এই ভবনকে পুরোপুরি অপরিকল্পিত উন্নয়ন- বলছেন স্থানীয়রা।

পর্যটক না থাকার কথা স্বীকার করে, ভবনটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা জানান, ঋণ নিয়ে কোনো রকমে ভবনটিকে চালু রাখা হয়েছে।

মোহনগঞ্জ পর্যটন কেন্দ্রের ম্যানেজার মো. আইনুল হক বলেন, ‘মাইকিংয়ের পাশাপাশি লিফটলেটও ছাড়া হয়েছে। বিভিন্নভাবে আমরা চেষ্টা করছি, কিন্তু আশুনুরুপ পর্যটক বা লোকজন আসছে না।’

জেলার সীমান্তবর্তী ২ উপজেলা দুর্গাপুর ও কলমাকান্দায় প্রতিবছর শীত মৌসুমে হাজারো পর্যটকের সমাগম ঘটে।

এএইচ