১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর টেক্সাসের ডালাসে গুলি করে হত্যা করা হয় তৎকালীন ডেমোক্র্যাট নেতা ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডিকে। যে ঘটনা গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দেয়। দশকের পর দশক কেটে গেলেও উদঘাটন হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫তম প্রেসিডেন্ট হত্যার আসল রহস্য।
৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এবার বেড়িয়ে এলো প্রায় ৬৩ হাজার ৪০০ পৃষ্ঠার দুই হাজার ১৮২টি পিডিএফ নথি। জন এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে এই গোপন নথি প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল আর্কাইভ। যদিও আনুমানিক প্রায় ৮০ হাজার পৃষ্ঠার গোপন নথি প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এরই মধ্যে ৬৩ হাজারের বেশি নথি সামনে আসায় ৬০ বছরেরও বেশি সময় পর নতুন করে আলোচনায় ভয়াবহ ও চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা।
গেল মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) নথি প্রকাশের পর কেনেডি হত্যার নতুন তথ্য অনুসন্ধানে চলছে পর্যালোচনা। কারণ এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মনে করা হয়। ওয়ারেন কমিশনের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী অসওয়াল্ড নামে একজনকে দায়ী করা হলেও বিশ্বাস করেনি যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ জনগণ। এমনকি চাচা জন এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ডে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর হাত আছে বলে অভিযোগ করে আসছেন রবার্ট এফ. কেনেডি জুনিয়র।
তিনি বলেন, 'আমার চাচাকে কোনো খুনি খুন করেনি। তাকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছিল। লাখ লাখ পৃষ্ঠার নথি এবং এর সাথে জড়িত ব্যক্তিদের অনেক স্বীকারোক্তি রয়েছে। যাতে সিআইএ-এর যোগসূত্র এবং তার মৃত্যুর প্রমাণ ধামাচাপা দেয়ার প্রমাণ স্পষ্ট।'
এ অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছে সিআইএ। এ অবস্থায় নতুন নথিগুলো কেনেডি হত্যাকাণ্ড রহস্যের জট খুলতে কতটা সহায়ক হয় সে দিকেই তাকিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পুরো বিশ্ববাসী।
এদিকে জন এফ কেনেডি মারা যাওয়ার পাঁচ বছর পর ১৯৬৮ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছিলেন তার ভাই ও তৎকালীন মার্কিন সিনেটর রবার্ট এফ কেনেডি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। ওই বছরই টেনেসি অঙ্গরাজ্যে আততায়ীর হাতে প্রাণ হারান মার্কিন নাগরিক আন্দোলনের অন্যতম মুখ মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র। এই জনপ্রিয় নেতাদের গুপ্তহত্যার নথি প্রকাশ্যে আনতে তৎপরতা চালাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।