মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের আগেই গাজা-ইসরাইল যুদ্ধ বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তার এমন হুঁশিয়ারিতে গেল ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরাইল। প্রথম ধাপে ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতিতে ৩৩ জন ইসরাইলি জিম্মির বদলে মুক্ত হয় প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দী। এরপর দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে আছে।
এবার ফিলিস্তিনি জনগণ ও হামাসকে শেষবারের মতো সতর্কবার্তা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জীবিত কিংবা মৃত সব জিম্মিদের মুক্তি দিয়ে হামাসকে গাজা উপত্যকা ছেড়ে যেতে হবে। তা না হলে গাজা পরিণত হবে নরকে এবং হামাসের কোনো সদস্য নিরাপদের থাকবে না। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালের পোস্টে ট্রাম্প আরও বলেন, তার কথা না শুনলে গাজাকে শেষ করতে যা প্রয়োজন তার সবই ইসরাইলকে দেয়া হবে।
ট্রাম্প অতীতেও এ ধরনের হুমকি দিয়েছেন। এমনকি গাজা দখল করে ফিলিস্তিনিদের অন্য দেশের পাঠানোর প্রস্তাবও দিয়েছিলেন তিনি। তবে কোন শর্তে বা কী উপায়ে জিম্মিদের মুক্তি দেবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই জানাননি ট্রাম্প। ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, হামাসের হাতে এখনো ৫৯ জন জিম্মি রয়েছে। যাদের মধ্যে এখনো জীবিত অবস্থায় আছেন ২৪ জন।
এদিকে, গাজার যুদ্ধ অবসানে বিরল এক উদ্যোগ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ১৯৯৭ সালে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র। দীর্ঘ ২৮ বছর পর সেই হামাসের সঙ্গেই সরাসরি আলোচনা করতে কাতারে গেছেন মার্কিন বিশেষ দূত অ্যাডাম বোহেলার। বিষয়টি হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, 'মার্কিন বিশেষ দূত হিসেবে যেকোনো পক্ষের সঙ্গেই আলোচনা করার অধিকার আছে। জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে তিনি হামাসের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসছেন। এই বিষয়ে ইসরাইলের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। মার্কিন জনগণের স্বার্থে যা দরকার তা উদ্ধারে যে কারো সঙ্গেই আলোচনা হতে পারে।'
এদিকে ইসরাইলের ২৪তম সামরিক প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে ইয়াল জামিরকে। যুদ্ধবিরতির অচলাবস্থা নিরসন এবং বাকি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব এখন তার কাঁধে। জিম্মিদের অবিলম্বে মুক্তি না দিলে গাজায় ফের হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।