উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

জীবনের বড় একটা সময় তাদের কাটছে উটের খামারে

মধ্যপ্রাচ্যে উটের দৌড় প্রতিযোগিতা বা উটের জকির কথা কম-বেশি সবারই জানা। তবে তপ্ত মরুর বুক কিংবা কনকনে শীতে কীভাবে বেড়ে উঠছে মরুর জাহাজ খ্যাত এ প্রাণী, সেই গল্প অনেকেরই অজানা। যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে পরিবারের সচ্ছলতা এবং দেশের অর্থনীতির চাকা সচলে বিদেশে পারি জমানো অনেক বাংলাদেশির গল্পও।

শহর থেকে দূরে; দিগন্ত বিস্তৃত মরুভূমি। একটু ভেতরে যেতেই দেখা মিলবে ক্যারাভান সরাইয়ের মতো বসতি। যা মূলত স্থানীয়দের খামার বাড়ি।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি, দুবাই, শারজাহ, রাস আল খাইমাহ, আল আইন ও ফুজাইরাহ অঞ্চলের ধু-ধু মরু এলাকায় রয়েছে এমন অসংখ্য খামার বাড়ি। লালন পালন করা গৃহপালিত বিভিন্ন পশুপাখির মধ্যে যেখানে নজর কাড়ছে মরুর জাহাজ খ্যাত প্রাণী উট।

মরুর উত্তাপ কিংবা কনকনে শীতের মধ্যে নির্জন এলাকায় উট দেখভালে নিয়োজিত সবচেয়ে বেশি শ্রমিকই এশিয়ার। যে তালিকায় রয়েছেন অসংখ্য বাংলাদেশি। এমনই এক উট খামারে কাজ করেন সিলেট কানাইঘাটের রিজুওয়ান। ভোর ৪টা শুরু হয় দিনের কর্মব্যস্ততা। মাস শেষে বেতন আসে ১২শ দিরহাম। একই খামারে আছেন কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার আব্দুর রহমানসহ বিভিন্ন দেশের আরো ১৩জন প্রবাসী।

মৌসুম ভেদে উটের যত্নে আসে বৈচিত্র্য। বড় উটের জন্য বিশালা বেষ্টনী আর শাবকের জন্য থাকে বাড়তি সতর্কতা। রাখা হয় আলাদা খোয়াড়। কাজের সময়েও থাকে পার্থক্য। তবে ধরাবাঁধা নেই শ্রমঘণ্টা। সূর্যোদয় থেকে অস্ত। কখনো বা দিন পেরিয়ে গভীর রাত। যে কোনো বৈরি পরিস্থিতিতেও মরু অঞ্চলে জীবন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হয় এসব বেদুইনদের।

পরিবার-পরিজন রেখে মরুর বুকে হাজারো কষ্টের মধ্যেও ধীরে ধীরে উটের সঙ্গে মায়ার বন্ধন গড়ে উঠেছে প্রবাসীদের। কাজের ফাঁকে উটের পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়ান মরু প্রান্তর।

এএম