পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে বাংলাদেশিদের পথচলার শুরু ১৯৭৮ সালে। তবে ৯০ এর দশক থেকে বাংলাদেশিদের ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে বাংলাদেশিদের সংখ্যা। নানা পথ পরিক্রমায় বর্তমানে লিসবনে মোট বাংলাদেশিদের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। ধীরে ধীরে বাড়ছে বাংলাদেশি পরিবারের সংখ্যাও।
পর্তুগালের অন্য শহরগুলোর মতো রাজধানী লিসবনেও বেশিরভাগ বাংলাদেশিরা ব্যবসায় সম্পৃক্ত। এর মধ্যে পর্যটন ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় জড়িত বেশিরভাগ বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। লিসবনের পর্যটন ব্যবসার সিংহভাগই বাংলাদেশিদের মালিকানাধীন। খুচরা ব্যবসায় ব্যাপক সাফল্য লাভের পর বর্তমানে পাইকারি ব্যবসায়ে বিনিয়োগ বেড়েছে বাংলাদেশিদের।
পর্তুগালের লিসবনের পর্যটন ব্যবসায়ী মোশাররফ হোসাইন বলেন, ‘খুচরা ব্যবসার সাথে বাংলাদেশিরা আগে থেকেই জড়িত ছিল। ইদানীং চাইনিজদের পাশাপাশি বাংলাদেশিরা পাইকারি ব্যবসায় বিনিয়োগ বাড়িয়েছে।’
পর্তুগালে ব্যবসার পাশাপাশি কৃষি ও পর্যটন খাতেও কর্মরত রয়েছেন বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি। সময়ের পথপরিক্রমায় বাংলাদেশি কমিউনিটির সাফল্যে প্রশংসায় পর্তুগিজরাও। পর্তুগিজ এই গবেষকের মতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের মাধ্যমে লিসবনের কিছু জায়গার চেহারা বদলে গেছে।
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সহজ শর্তে অভিবাসনের সুযোগ থাকায় বিগত বছরগুলোতে পর্তুগালকে বেঁচে নিয়েছিলে বাংলাদেশিরা। যদিও সাম্প্রতিক সময় অভিবাসন প্রক্রিয়ায় কঠোর নীতি চালু হওয়ায় ক্রমেই কমছে নতুন বাংলাদেশিদের আগমন সংখ্যা।