উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

প্রচারণার শেষ দিকে জাতিবিদ্বেষী আর অশ্লীল শব্দবাণে কামালাকে ট্রাম্পের আক্রমণ

নির্বাচনে জিতলে ক্ষমতার প্রথম দিন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অভিবাসী তাড়ানো কর্মসূচি শুরু করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রোববার নিউইয়র্কে এক জনসমাবেশে এ ঘোষণা দেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অন্যদিকে নির্বাচনের আগে শেষমুহূর্তে জেন-জি'দের সমর্থন নিশ্চিতে তৎপরতা বাড়িয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস।

যুক্তরাষ্ট্রে শেষবার ১৯৮৪ সালে কোনো রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়েছিল সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ নিউইয়র্ক। ৪০ বছর পর হয়ত দৃশ্যপট উল্টে দেবার জেদ থেকেই প্রচারের শেষ দিকে এসে ৩১ লাখ অভিবাসী এ শহরে দাঁড়িয়েই একের পর এক জাতিবিদ্বেষী আর অশ্লীল শব্দবাণে বিরোধীদের আক্রমণ করে গেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প আর তার পক্ষে প্রচারে অংশ নেয়া অন্তত ২০ অতিথি।

রোববার নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে সমাবেশ করেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কামালা হ্যারিসের বিরুদ্ধেই যত বক্তব্য ট্রাম্পের। বর্ণবাদী থেকে শুরু করে নারীবিদ্বেষী- কোনো ভাষা ব্যবহারই বাদ রাখেননি রিপাবলিকান প্রার্থী।

৫ নভেম্বরের নির্বাচনে জিতলে তা হবে যুক্তরাষ্ট্রের মুক্তির দিন এবং প্রথম দিন থেকেই মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অভিবাসী তাড়ানো কর্মসূচি শুরু করবেন বলে ঘোষণা দেন ট্রাম্প। জানান, এ সবকিছুই হবে তার 'আমেরিকা ফার্স্ট' নীতির অংশ।

রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘এখন থেকে ঠিক নয়দিন পর আসবে যুক্তরাষ্ট্রের মুক্তির দিন। স্বাধীনতা দিবস হবে এটি। প্রথম দিনই এ দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিতাড়ন কর্মসূচি উদ্বোধন করবো আমি। অপরাধীদের বের করে দিতে পারলে বেদখল প্রতিটি শহর ও নগরী পুনরুদ্ধার করবো আমি। এই হিংস্র, রক্তপিপাসু বদমাশদের জেলে ভরবো, যত দ্রুত সম্ভব দেশ থেকে লাথি মেরে বের করে দেবো।’

বিপরীতে এদিন তরুণ ও নতুন ভোটারদের সমর্থন আদায়ে তৎপর ছিলেন কামালা হ্যারিস। সবচেয়ে বেশি ইলেক্টোরাল ভোট আসবে যে দোদুল্যমান যে সুইং স্টেট থেকে, অর্থাৎ রিপাবলিকান বা ডেমোক্র্যাটদের প্রতি সমর্থন সুনির্দিষ্ট নয়- সেই পেনসিলভেনিয়ায় সমাবেশ করেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট। জলবায়ু পরিবর্তন, আগ্নেয়াস্ত্রের অপব্যবহার, নারীদের গর্ভপাতের অধিকারসহ নানা ইস্যুতে তরুণদের সমর্থন চান তিনি।

ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কামালা হ্যারিস বলেন, ‘জেন-জি'রা আছে এখানে? কাদের জীবনে এটি প্রথম নির্বাচন? প্রথমবার ভোট দিচ্ছে? তোমাদের আমি ভালোবাসি, তোমরা তরুণ নেতা। পরিবর্তনের জন্য অধৈর্য হয়ে উঠেছো। এটাই হওয়ার কথা। তোমরা এখানে এসেছ, আমি তোমাদের দেখছি কারণ আমি তোমাদের ক্ষমতা জানি। আজ তোমরা এখানে কারণ তোমরা নিজেদের ক্ষমতা জানো।’

নির্বাচনের আগে শেষ এক সপ্তাহে একে একে বিভিন্ন ব্যাটলগ্রাউন্ড অঙ্গরাজ্যে সফর করবেন কামালা। শেষ সময়ের জরিপেও দুই প্রার্থীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস বলে, ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ব্যাটল গ্রাউন্ডস সাত অঙ্গরাজ্যের দিকেই তাকিয়ে প্রার্থীরা এবং সাথে ভোটাররাও। এ পর্যন্ত আগাম ভোট পড়েছে তিন কোটি ৮০ লাখের বেশি।

এএইচ