ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কনভেনশন শেষ হতে না হতেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে মার্কিন রাজনীতিতে ঐক্যের চমক নিয়ে হাজির হয়েছে রিপাবলিকান পার্টি। নভেম্বরে হতে যাওয়া হোয়াইট হাউসের লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়ে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রfর্থী রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র। এতে উল্লাসের বানে ভাসছে রিপাবলিকান শিবির।
৭০ বছর বয়সী রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রের রাজনৈতিক জীবনের বেশিরভাগ সময়ই কেটেছে ডেমোক্রেটিক পার্টিতে। নানা অসন্তোষে অবশেষে হাত মিলিয়েছেনে ট্রাম্পের সঙ্গে। নির্বাচনের আগে, এই ঐক্যকে অন্যরকম এক বিজয় হিসেবে দেখছেন রিপাবলিকানরা।
স্থানীয় একজন বলেন, 'এটি দুর্দান্ত ছিল। কেনেডি ডেমোক্র্যাট থেকে রিপাবলিকানদের কাছে এসেছেন। এই ঐক্য দেখাবে যে আমরা সবার সাথে মিলেমিশে কাজ করতে পারি। একটি আমাদের জন্য দুর্দান্ত সুযোগ হতে চলেছে।'
একজন রিপাবলিকান সমর্থক বলেন, 'তিনি একজন মহান মানুষ এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্রে দুর্দান্ত কাজ করতে চান। আমি মনে করি তিনি রিপাবলিকান প্রচারে যুক্ত হওয়ায় ট্রাম্পের জয় সম্ভাবনা আরও বেড়ে গেছে।'
অ্যারিজোনার গ্লেনডেলের প্রচারণা চালানোর সময় রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রের সমর্থন পেয়ে আরও বেশি চাঙা হয়ে উঠেন কামালা হ্যারিসের প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প। দলে স্বাগত জানান, বাকি অসন্তুষ্ট লাখ লাখ ডেমোক্র্যাট সমর্থক, স্বাধীনচেতা, মধ্যপন্থি এবং পুরানো ধাঁচের উদারপন্থিদের।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'আজ রাতে আমি এমন একজন ব্যক্তিকে স্বাগত জানাতে পেরে খুবই আনন্দিত, যিনি মানুষের মূল্যবোধগুলো সম্পর্কে বোঝেন। তার পিতা রবার্ট কেনেডিও মূল্যবোধের বিষয়ে ইতিবাচক প্রচারণার মাধ্যমে আমেরিকানদের ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করেছিল। তার চাচা ছিলেন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি।'
প্রাইমারিতে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই কমলা হ্যারিসকে নতুন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে বেছে নেয়ায় ডেমোক্রেটিক পার্টির তুমুল সমালোচনা করেছেন রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র। নিরাপদ আমেরিকা গড়ে তুলতে ট্রাম্পের বিকল্প নেই বলেও মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী কেনেডি পরিবারের এই সদস্য।
রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র বলেন, 'একটি নিরাপদ আমেরিকা গড়ে তোলার সর্বোত্তম উপায় হল আমাদের শিল্প ভিত্তি পুনর্নির্মাণ করা। সেই সঙ্গে এই দেশে মধ্যবিত্তদের পুনর্গঠন করা। আপনারা কি এমন একজন প্রেসিডেন্ট চান না যিনি আমাদের যুদ্ধ থেকে বের করে আনবেন এবং যিনি এই দেশের মধ্যবিত্তকে পুনর্গঠন করতে যাচ্ছেন? তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্প ছাড়া আর কেউ না।'
এদিকে, আবারও কামালা হ্যারিসকে গণতন্ত্রের জন্য হুমকি উল্লেখ করে ডোনাল্ট ট্রাম্প। বলেন, ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে দেশকে বাঁচাতে হবে। এর জন্য দেশের সার্বভৌমত্ব ও সীমানা পুনরুদ্ধার, অর্থনীতি আরও শক্তিশালী করা এবং মধ্যবিত্তদের জীবনমান সহজ করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। কামালার হাতে ক্ষমতা গেলে তা কখনোই সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করেন সাবেই এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।