উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

হামলার পর ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন জোরালো হচ্ছে!

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর বন্দুক হামলার ঘটনায় মার্কিন রাজনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় বিশ্লেষকরা। এই বন্দুক হামলা বার্তা দিচ্ছে, নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে দেশটিতে আরও বাড়বে সংঘাত–সহিংসতা। নির্বাচনী র‌্যালিতে হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। তবে ডেমোক্রেটরা বলছেন, এই ঘটনার পর ট্রাম্পের প্রতি জোরালো হচ্ছে সমর্থন।

৮টি বন্দুকের গুলি বদল দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৃশ্যপট। পেনিসিলভানিয়ায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলা এই বার্তা দিচ্ছে যে, নভেম্বরের নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক যেকোনো গতিবিধি সহিংসতার শিকার হতে পারে। মার্কিন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলার মধ্য দিয়ে ট্রাম্প দলীয় প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থীতা পেতে এগিয়ে গেলেন। তবে গেলো এক দশকের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বলছে, এবারের নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি হতে পারে আরও ভয়াবহ।

সংবাদ মাধ্যম সিএনএন'এর বিশ্লেষণ বলছে, ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনায় ভোটারদের ওপর কী প্রভাব পড়ছে তা অনুমান এখনই করা না গেলেও দেশের মানুষ অনেক আগেই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। লাখ লাখ ভোটারের ওপরই নির্ভর করছে হোয়াইট হাউজের নেতৃত্ব কে দেবে সেই বিষয়টি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের পরিস্থিতি শান্ত রাখতে নিজেদেরই শান্ত থাকতে হবে।

কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের গবেষণা বলছে, রাজনৈতিক দল নিয়ে মার্কিনদের মধ্যে বাড়ছে দ্বিধাবিভক্তি। বাইডেনের নির্বাচনের জয় এবং ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের দাঙ্গার পর থেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের জীবনের ঝুঁকি বেড়ে গেছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সময়টা রাজনীতির জন্য যথেষ্ট বিপজ্জনক। তবে তারা বলছেন, এই হামলার পর ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন জোরালো হবে।

এদিকে, ডেমোক্রেট নীতিনির্ধারকরা বলছেন, চূড়ান্ত সময় এসেছে দেশটিতে অবাধে বন্দুকের কেনাবেচা আর ব্যবহারে লাগাম টানার। যুক্তরাষ্ট্রে যেকোনো সময়ের তুলনায় বেড়েছে বন্দুক সহিংসতা। ভবিষ্যতে এমন আরও নির্বাচনী র‌্যালিতে হামলার শঙ্কা আছে। নির্বাচনী প্রচারণার এই মৌসুমে ডেমোক্রেট, রিপাবলিক ছাড়াও কংগ্রেস, সিনেট আর রাষ্ট্রীয় অনেক পদের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন হাজারও মানুষ। এই হামলা হাই প্রোফাইল প্রার্থীদের জন্য নিরাপত্তা আরও জোরদারের সংকেত দিয়েছে বলেই মনে করছেন ডেমোক্রেটরা।

এই হামলাকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরপাক খাচ্ছে অনেক ষড়যন্ত্রের জল্পনা-কল্পনা। সংবাদ মাধ্যম বিবিসি'র প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেউ কেউ বলছেন, হামলাকারী ছাদে উঠলো কীভাবে, কেউ বাধা কেনো দিলো না। এই ঘটনাকে তথ্যের ভুল বলেও আখ্যাও দেয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ভিড়ের মধ্যে কাউকে অস্থির হতে দেখা যায়নি, কেউ আসল গুলির শব্দ শোনেনি।

যদিও এই ঘটনার পর নতুন রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। নিজের রাজনৈতিক অবস্থানের ভবিষ্যৎ টিকিয়ে রাখার পাশাপাশি বিরোধীদলকেও নিরাপত্তা দিতে হচ্ছে তাকে। এই অবস্থায় তার পুনরায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনাকেই উড়িয়ে দিচ্ছেন অনেকে।

এসএস