যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে ইফতার করলেন ট্রাম্প

বিদেশে এখন
0

পবিত্র শবে কদরের আল্লাহ'র ইবাদতে ধ্যানমগ্ন রাত কাটালেন মুসলিম বিশ্বের ২০০ কোটি মানুষ। কাবা থেকে শুরু করে পবিত্রভূমি হিসেবে মক্কা-মদিনা, জেরুজালেমের মসজিদে মসজিদে নামাজ পড়েন কোটি কোটি মানুষ। কঠিন ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে আল-আকসায় ঢুকতে হয় ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের। এদিন যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে ইফতার করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

লাইলাতুল কদর, বা শক্তির রাত। ইসলাম ধর্মে প্রচলিত বিশ্বাস, বরকতময় এ রাতে পৃথিবীর বুকে প্রথমবার নাজিল হয় পবিত্র কুরআন, যেখানে বলা আছে, এক হাজার মাসের চেয়ে উত্তম এই এক রাত।

যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে চলতি বছর লায়লাতুল কদর পালিত হলো বৃহস্পতিবার রাতে। মুসলিম বিশ্বের প্রাণকেন্দ্র সৌদি আরবের মক্কায় মসজিদ আল-হারামে কাবা প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে নামাজ পড়েন কয়েক হাজার মানুষ।

মক্কা-মদিনার পরই মুসলিমদের কাছে তৃতীয় পবিত্রতম ভূমি হিসেবে স্বীকৃতি জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদও মুখর ছিল মুসল্লিদের পদচারণায়। এক লাখ ৮০ হাজার ফিলিস্তিনি আল-আকসায় রাতভর নামাজ পড়েন বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের কঠোর তল্লাশি পেরিয়ে দিনের বেলাতেই শুরু হয় মুসল্লিদের আনাগোনা।

ফিলিস্তিনিদের মধ্যে থেকে একজন বলেন, 'নিরাপত্তা চৌকি পার হতে গিয়েও দুর্ভোগের শিকার হয়েছি। তিন ঘণ্টা অপেক্ষার পর আমাদের ঢুকতে দেয়া হয়েছে।'

অন্য একজন বলেন, 'দুপুর ২টা থেকে মসজিদে ঢুকতে দেয়ার কথা ছিল। এখানেই অপেক্ষা করে থাকবো আমরা। আল-আকসায় কদরের নামাজ পড়তে না পারা পর্যন্ত এ জায়গা ছাড়বো না।'

পবিত্র এ রাতেই যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে ইফতার ও নৈশভোজ সারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজে আমন্ত্রিত অতিথিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দাবি করেন, দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফিরতে রেকর্ডসংখ্যক মুসলিম ভোটারের সমর্থন পেয়েছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, '২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লাখ লাখ মুসলিম মার্কিনি আমাদের ভোট দিয়েছেন যা রেকর্ড সর্বোচ্চ। তাদের সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। এটা চমৎকার একটা যাত্রা। আপনাদের কাছে পৌঁছাতে একটু সময় লেগেছে, কিন্তু আমরা এক হয়েছি।'

শবে কদরের সঠিক তারিখ জানা যায় না। তবে ধারণা করা হয়, ইসলামিক বর্ষপঞ্জির নবম মাস রমজানের শেষ ১০ দিনের বেজোড় রাতগুলোর কোনো এক রাতে শুরু হয় কুরআনের বাণী নাজিল হওয়া। প্রতি বছর ২৭ রমজান রাতভর একযোগে আল্লাহ'র ইবাদতে ধ্যানমগ্ন হন সারা বিশ্বের প্রায় ২০০ কোটি মুসলিম।

এসএস