সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন বলছে, ভোটার তালিকায় ক্রুকসের রিপাবলিকান হিসেবে নিবন্ধন আছে। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে অ্যাক্ট ব্লু কমিটিকে দেড় কোটি ডলার অনুদান দেন তিনি। ট্রাম্পের মঞ্চ থেকে খুব বেশি দূরে ছিলেন না তিনি। আগ্নেয়াস্ত্রসই প্রবেশ করতে দেখা গেছে তাকে। কিন্তু কোনো ধরনের বাধার মুখোমুখি হননি তিনি।
ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার এই ঘটনায় তোলপাড় পুরো বিশ্ব। রিপাবলিকান নীতি নির্ধারকরা এর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছেন। তাদের প্রশ্ন, মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্টের র্যালির কাছে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ক্রুক প্রবেশ করলো কীভাবে? প্রতিনিধি পরিষদ বলছে, এই ঘটনায় তদন্ত করবে সিক্রেট সার্ভিস, ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি, আর এফবিআই। নিরাপত্তার ঘাটতি ইস্যুতে সিক্রেট সার্ভিসকে দুষছেন ট্রাম্পের সমর্থকরা।
এই হামলার কারণ এখনও জানা যায়নি। নির্বাচনের মাত্র ৪ মাস আগে ট্রাম্পের ওপর এই হামলার কারণে নিন্দার ঝড় বইছে ডেমোক্রেটদের বিরুদ্ধে। রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি মার্কিন নাগরিকরাও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার আশঙ্কা করছেন।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মার্কিন রাজনীতিতে সহিংসতার অভিশপ্ত কালো অধ্যায়। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলা মার্কিনদের নেতা নির্বাচনের স্বাধীনতার ওপর হয়েছে, গণতন্ত্রের ওপর হয়েছে।
সিক্রেট সার্ভিসের সাবেক কর্মকর্তারা বলছেন, প্রেসিডেন্ট বা ভাইস প্রেসিডেন্টের মতো নিরাপত্তা তাকে দেয়া না হলেও সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার ট্রাম্প রাখেন। তবে ট্রাম্পের র্যালিতে হামলাও খুব কঠিন কাজ। র্যালির আগেও ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা ঠিকঠাক আছে কিনা সেটা পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সেটা না করে র্যালির আগ মুহূর্তে এলাকাটি স্ক্যানিংয়ের আওতায় আনা হয় বলেও অভিযোগ করেন সাবেক সিক্রেট সার্ভিস।