সিনেমা জগতের সবচেয়ে বড় পুরস্কার ৯৬তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের আসর বসে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে। প্রতিবছরের মতো এবারও অস্কার অনুষ্ঠান ঘিরে নেয়া হয় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তবে অনুষ্ঠান শুরুর আগেই ডলবি থিয়েটারের সামনে জড়ো হন শত শত বিক্ষোভকারীরা। গাজায় চলমান ইসরাইলি হামলা বন্ধ, অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং অস্কার অনুষ্ঠান বন্ধের দাবি জানান তারা।
অস্কার অনুষ্ঠান নির্ধারিত সময় থেকে কয়েক মিনিট পিছিয়ে শুরু করা হয়। বিক্ষোভকারীদের প্রতিবাদের মুখে অনুষ্ঠানস্থলের আশেপাশের সড়কে দেখা দেয় তীব্র যানজট। লাল গালিচা ও ডলবি থিয়েটারের প্রবেশপথে বাধার মুখে পড়েন কয়েকজন তারকা। সময়মতো অনেক তারকা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি। অনেকেই আটকা পড়েন ট্রাফিক জ্যামে। বিক্ষোভকারীদের বাধার মুখে পড়েন বার্বি তারকা মার্গট রবি। একাডেমি থেকে বিশেষ গাড়িতে করে আটকে পড়া তারকাদের অনুষ্ঠানে নিয়ে আসা হয়।
বিক্ষোভকারীদের অনেকের ব্যানারে লেখা ছিল 'গণহত্যার জন্য কোনো পুরস্কার নেই'। ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে অংশ নেন কয়েকশ' বিক্ষোভকারী। তারকাদের উদ্দেশ্যে চিৎকার করে যুদ্ধবিরতি ও নিরহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা বন্ধের দাবি জানায় তারা।
একজন বিক্ষোভকার বলেন, 'গাজায় ইসরাইলি সরকারের কর্মকাণ্ডে আমরা হতবাক। ইসরাইলি বা ফিলিস্তিনি আমরা সবাই মানুষ। অবিলম্বে হামলা বন্ধ করা হোক। গাজায় ইসরাইলি হামলায় মার্কিন সমর্থনের বিরুদ্ধে কথা বলতে এখানে এসেছি। লস অ্যাঞ্জেলেসের চলচ্চিত্র কর্মী ও তারাকারা নিশ্চুপ আছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ।'
লস এঞ্জেলেসের পুলিশ বিভাগ জানায়, বিক্ষোভকারীদের নিরাপদ বেষ্টনির বাইরে রেখে তারকাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। অস্কার অনুষ্ঠান ঘিরে নিয়োজিত ছিল ২ হাজার নিরাপত্তারক্ষী। একপর্যায়ে নিরাপত্তা জোরদারে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
বিলি আইলিশ, মার্ক রাফালো, র্যামি ইউসেফসহ বেশ কয়েকজন তারকা রেড কার্পেটে হাটেননি। গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে প্রতীক হিসেবে একটি করে লাল পিন পরেন। যেটি গাজা-ইসরাইল যুদ্ধবিরতির আহ্বানে গঠিত 'Artists4Ceasefire' আন্দোলনের লোগো। গত অক্টোবরে চারশ'র বেশি তারকা মার্কিন কংগ্রেস ও প্রেসিডেন্টকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছিল।
বিক্ষোভে জন্য অনুষ্ঠানে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। প্রতিবাদের মুখেও থিয়েটারে প্রবেশ ছিল নিরাপদ ও সুরক্ষিত। ইসরাইলের প্রতি বাইডেনের সমর্থনের বিরোধিতা করেন লস অ্যাঞ্জেলসে আসা বিক্ষোভকারীরা।