পরে ইটনা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় তারা দাবি করেন পরিকল্পিতভাবে ওসিকে ফাঁসানো হয়েছে।
টেন্ডারের মাধ্যমে পাওয়া কাজের টাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতার কাছে জিলাপি খেতে চেয়েছিলেন কিশোরগঞ্জের ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ার হোসেন। এ-সংক্রান্ত একটি অডিও রেকর্ড ভাইরাল হয়ে যায় গত ১৪ এপ্রিল।
পরে এ ঘটনায় ওই ওসিকে জেলা পুলিশ লাইনসে ক্লোজড (সংযুক্ত) করা হয়। ফলে সেই ওসির বদলি ঠেকাতে আজ দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল করে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম কামাল হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মনির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুজ্জামান ঠাকুর স্বপন ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পলাশ রহমানসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইটনা উপজেলা বিএনপি সভাপতি এস এম কামাল হোসেন মুঠোফোনে জানান, ওসি মো. মনোয়ার হোসেন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কঠোর ছিলেন বলে তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসিয়ে বদলি করানো হয়েছে। এসময় তিনি বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী বদলি হবে সেখানে কোনো সমস্যা নেই। ওসি সাহেবতো নিজে জিলাপি খেতে চাননি, মানুষকে খাওয়ানোর কথা বলেছেন। ফ্রেন্ডলি সম্পর্ক থাকায় ওই ছেলের কাছে জিলাপির কথা বলেছেন। মানুষের কাজতো একশো পার্সেন্ট ঠিক থাকতে পারে না। হয়তো ১০ পার্সেন্ট কাজ খারাপ ছিলো।‘
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন বলেন, ‘ঐ ওসির নামে তো অনেক অভিযোগ। দোষী সাব্যস্ত হয়েছে বিধায় তাকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সরিয়ে নিয়েছে। তাকে তো আর অহেতুক সরানো হয়নি। সুতরাং এ বিষয় নিয়ে বিক্ষোভ করার কোনো যৌক্তিকতা নেই।’