দেড় বছর ধরে ইসরাইলি কারাগারে আটক থাকার পর গতকাল মুক্তি পেয়েছেন এক ফিলিস্তিনি যুবক। অথচ খুশি হওয়ার বদলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন তিনি। কারণ বাড়ি ফেরার পরপরই জানলেন ইসরাইলি হামলায় প্রাণ গেছে তার পরিবারের সব সদস্যের।
আবার একরাশ দুঃখ নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক ফিলিস্তিনি। কারাগারে আটক অবস্থায় ইসরাইলিরা তাকে জানিয়েছিল, এক হামলায় প্রাণ গেছে তার পরিবারের সব সদস্যের। কিন্তু দরজার সামনে গিয়ে আর সামলাতে পারেননি নিজেকে। জীবিত স্ত্রী-সন্তানকে দেখে প্রাণ জ্ঞান হারাবার জোগাড় তার। এমনভাবে আদর করেছেন- যেন বহুযুগ পর কন্যাকে খুঁজে পেয়েছেন।
সোমবার প্রায় দুই হাজার বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরাইল। এদের মধ্যে ২৫০ জন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেও বাকিদের আটক করা হয় গাজা থেকে, যাদের অধিকাংশই জানতেন না তাদের অপরাধ কী।
মুক্তি পাওয়ার পর ইসরাইলি কারাগারে আটক থাকার অবস্থায় নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা স্থানীয়দের সঙ্গে ভাগ করেছেন অনেকেই। শারীরিক যন্ত্রণা তো আছেই, মানসিকভাবেও ইসরাইলি নির্মম অত্যাচারের শিকার হয়েছেন এমন অনেক বর্ণনা উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে।
আরও পড়ুন:
খেতে না দেয়া, দিনের পর দিন চোখ-মুখ বেঁধে রাখা, হাঁটুতে ভর দিয়ে হাঁটতে বাধ্য করা, ঘুমাতে না দেয়া, পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলার মিথ্যে খবর ছড়ানো, রাসায়নিক দিয়ে শরীর পোড়ানো, মাথায় এসিড ঢেলে বৈদ্যুতিক শক, পাগলাটে কুকুর লেলিয়ে দেয়া এমননি অসুস্থদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার নামে তাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ- নির্যাতনের তালিকা এতটাই লম্বা আর অমানবিক যা হার মানাবে আদিমতম বর্বরতাকেও।
এদিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের দাবি গতকাল মোট ১৯৬৮ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে রেহাই করা হলেও এখনও ১০ হাজার ফিলিস্তিনিকে বেআইনিভাবে কারাগারে আটকে রেখেছে ইসরাইল। এছাড়া গেল দুই বছরে ৭০ জনের বেশি ফিলিস্তিনিকে কারাগারে হত্যা করেছে নেতানিয়াহু বাহিনী। আরও আশঙ্কার কথা প্রায় সাড়ে তিনশ’ ফিলিস্তিনি শিশু এখনও আটক আছে ইসরাইলি কারাগারে।





