জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনার আগে হামাসের মার্কিন বন্দি মুক্তি

মার্কিন বন্দি | ছবি: সংগৃহীত
0

জাতিসংঘের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি আলোচনা নিশ্চিত করতে আজ (সোমবার, ১২ মে) এডান আলেকজেন্ডার নামে এক মার্কিন-ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দিতে যাচ্ছে হামাস। এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি। আগামীকাল (মঙ্গলবার, ১৩ মে) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের কথা রয়েছে। ট্রাম্পের সফরকালে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর বিষয়ে ইসরাইলের সঙ্গে চুক্তি করতে চায় হামাস। ট্রাম্পের সফরের আগে হামাসের বন্দি মুক্তি বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখছে তেল আবিব।

মাসখানেক আগে হামাসের হাতে জিম্মি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের দ্বৈত নাগরিক এডান আলেকজেন্ডারের ভিডিও প্রকাশ করে হামাস। সেখানে দেখা যায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে মুক্তির আকুতি জানান আলেকজেন্ডার।

হামাসের হাতে থাকা একমাত্র মার্কিন-ইসরাইলি এই বন্দিকেই এবার মুক্তি দিতে যাচ্ছে হামাস। এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি। হামাস জানায়, গাজায় জরুরি সহায়তা পৌঁছানো ও যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে জাতিসংঘের সাথে সরাসরি আলোচনা নিশ্চিত করতেই এই বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে তারা।

এদিকে মঙ্গলবার মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৪ দিনের এই সফরে সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত যাবেন তিনি। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এটিই ট্রাম্পের প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর।

ট্রাম্প তার এ সফরের মধ্য দিয়ে গাজার সংকট সমাধানে অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন। তাই হামাস-ইসরাইল যুদ্ধের জেরে চরম অস্থিরতার মধ্যে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর আশার আলো দেখাচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষকে। বিশেষকরে গাজার লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে।

ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যের সফরের আগের দিন হামাসের হাতে জিম্মি বন্দিকে মুক্তি দেয়ার বিষয়টিকে বেশ ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে ইসরাইল। এডান আলেকজেন্ডারকে গ্রহণ করতে হামাসের জন্য তারা নিরাপদ করিডরের ব্যবস্থা করবে বলে নিশ্চিত করেছে তেল আবিব। তবে এর বিনিময়ে কোন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি বা যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি দেয়নি বলেও নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে তারা।

এদিকে গাজায় আশ্রয়কেন্দ্রগুলো লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। এতে অকাতরে ঝরছে ফিলিস্তিনিদের প্রাণ। সোমবার নতুন করে গাজার বেশ কয়েকটি স্কুলে হামলা করে ইসরাইলি সেনারা। প্রাণ বাঁচাতে যেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন ফিলিস্তিনিরা। এ নিয়ে গাজায় প্রায় ৫২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার।

গত ৭০ দিন ধরে গাজায় কোনো ধরনের জরুরি সহায়তা পৌঁছাতে দিচ্ছে না ইসরাইল। এতে না খেয়ে অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের। এমনকি ছোট্ট শিশুরাও খাবারের অভাবে দুর্বিষহ দিন কাটাচ্ছে।

এসএস