ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের ক্ষমতা গ্রহণের প্রায় ১ বছর হতে চলেছে। ভোটের আগে দেয়া নির্বাচনি জনসভায় ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির জন্য প্রাক্তন বাইডেন প্রশাসনকে দায়ী করেন। পাশাপাশি, রিপাবলিকানদের ভোট দিলে দ্রব্যের দাম কমানোরও ঘোষণা দেন ট্রাম্প। তার এই প্রতিশ্রুতিতে সন্তুষ্ট হন মিশিগানবাসী। রাজ্যটিতে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জয়ী হয় রিপাবলিকানরা।
কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের ক্ষমতা গ্রহণের বেশ কয়েক মাস পেরোলেও এখনও প্রেসিডেন্টের প্রতিশ্রুতির সুফল পাননি মিশিগানবাসী। একারণে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে ২০২৪ এর নির্বাচনে ট্রাম্পকে ভোট দেয়া সমর্থকদের মাঝে।
এক অধিবাসী বলেন, ‘আমি ভালো কিছু আশা করেছিলাম। কিন্তু পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমি কাউকে ভেড়ার মতো অনুসরণ করবো না। একজনকে ঠিক ততক্ষণ ভরসা করবো, যতক্ষণ তিনি আমার উপকারে আসবে।’
আরেকজন বলেন, ‘আমরা কম পণ্য কিনি। দাম বাড়ায় খাবারের অপচয় কমিয়ে দিয়েছি। ঘরের বাইরে খাওয়ার কথা একেবারে ভুলেই গেছি। কারণ রেস্টুরেন্টের খাবার অনেক ব্যয়বহুল। আগে কখনও মুদ্রাস্ফীতির এতো প্রভাব অনুভব করিনি।’
তবে ট্রাম্পের মেয়াদের আরও প্রায় ৪ বছর বাকী থাকায় এখনই তার প্রতি আস্থা হারাতে চান না রাজ্যটিতে থাকা তার ভক্ত- সমর্থকদের একটি বড় অংশ।
অন্য এক অধিবাসী বলেন, ‘আমি সকলের কষ্ট অনুভব করতে পারি। আশা রাখি ট্রাম্প প্রশাসন এটিকে জবাবদিহিতার মধ্যে নেবেন এবং এটি খুব দ্রুতই নিশ্চিত হবে।’
মিশিগানের এক অধিবাসী বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। আগের সরকারের শাসনামলে প্রায় ৯ বার মুদ্রাস্ফীতির কবলে পড়েছিল যুক্তরাষ্ট্রবাসী। সে হিসেবে এখন পরিস্থিতি অনেকটাই অনুকূলে। আমার মনে হয়না মুদ্রাস্ফীতি বর্তমান মিশিগানবাসীর মাথাব্যথার কারণ।’
তবে ট্রাম্প সমর্থকরা মূল্যস্ফীতি নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে কথা বললেও আগামী বছরের অনুষ্ঠিতব্য সিনেট নির্বাচনে এটিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করবে বিরোধী ডেমোক্রেট শিবির। তবে হোয়াইট হাউজের দাবি, বাইডেন প্রশাসনের ভুলের খেসারত দিতে হচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসনকে।





