একদিকে যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে, অন্যদিকে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী। ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমের তথ্য বলছে, হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরাইলের কিরিয়াত শমোনা শহরের আট হাজারের বেশি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা মেরামতে সময় লাগবে কমপক্ষে চার মাস। এছাড়া সাত হাজার গাড়ি এবং তিনশতাধিক কৃষি জমি নষ্ট হয়েছে। এদিকে ইসরাইলের হামলায় দক্ষিণ লেবাননের কয়েক ডজন শহর পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
এমন অবস্থায় লেবাননের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হিজবুল্লাহ'র সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে চলতি সপ্তাহেই বৈঠকে বসছে ইসরাইলের মন্ত্রিসভা। তবে যেকোনো চুক্তির অধীনে লেবাননে হামলা চালু রাখার কথা বলেন জাতিসংঘে ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন বলেন, 'প্রথমেই আমরা আশা করছি তারা যেকোনো প্রস্তাব গ্রহণের পর্যায়ে আছে। আপনারা জানেন, এ সংকট রাতারাতি সমাধান সম্ভব না। বেশ কয়েকটি পর্যায় আছে দুই পক্ষের দাবি-দাওয়া আছে। ইসরাইলের অন্যতম শর্ত লিটানি নদীর উত্তর থেকে হিজবুল্লাহকে সরে যেতে হবে।'
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্য বলছে, দুই পক্ষের মধ্যে প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি প্রাথমিকভাবে ৬০ দিনের জন্য হতে পারে। বেশ কিছু শর্তে যুদ্ধবিরতির আলোচনা এগিয়ে যাবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁখো শিগগিরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু নীতিগতভাবে চুক্তিতে সম্মত হয়েছেন। লেবাননের পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার বলছেন, নেতানিয়াহু তার মন পরিবর্তন না করলে যুদ্ধবিরতিতে কোনো বাধা থাকবে না। তবে, হিজবুল্লাহ যদি এই চুক্তি না মানে, তাহলে ইসরাইলি আক্রমণকে স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাষ্ট্রকে চিঠি দেয়া হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জানান, দুই পক্ষের মতপার্থক্য উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, 'এখনও চুক্তিটি হয়নি। আমাদের বিশ্বাস চুক্তিটি কার্যকরে সব পক্ষ খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলি বাহিনীর মধ্যে ব্যবধান উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে। এ অবস্থায় আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। আশা করি আমরা চূড়ান্ত ফলাফল দেখতে পারবো।'
এদিকে গাজায়ও হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। তাদের হামলায় এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৪৪ হাজার ২৩৫ জন ফিলিস্তিনি। আহত লাখের ওপর।