শনিবার রাতে বৈরুতের দাহিয়ের দৃশ্য এটি। ইরানে অভিযান শেষ করতে না করতেই লেবাননে আবারো হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। দাহিয়ের পাশাপাশি বেইত লাহিয়া ও বাবদায় দিনভর হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ।
আইডিএফের দাবি, বেসামরিক স্থাপনাগুলোকে ব্যবহার করা হচ্ছিলো হিজবুল্লাহর ঘাঁটি হিসেবে। হামলার আগে বাসিন্দাদের সরে যেতে দেওয়া হয় নির্দেশনা। যদিও হতাহতের সংখ্যা প্রশ্ন তুলছে আইডিএফের দাবি নিয়ে। বিমান হামলার পাশাপাশি দেশটিতে স্থল অভিযানও অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। তবুও লেবানিজরা বলছেন, এক ইঞ্চি ভূখণ্ড ছেড়ে দেয়া হবে না ইসরাইলকে।
কোনো ফলাফল ছাড়াই ইসরাইলিরা লেবাননের জায়গায় জায়গায় হামলা করছে। তবে বলতে চাই, মাটিতে ইসরাইলকে ছাড় দেওয়া হবে না।
উত্তেজনা কমার কোনো চিহ্ন নেই। ইসরাইলের আগ্রহ থাকলে আরো আগেই যুদ্ধ থামতো। কিন্তু তারা যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করতে চায়।
গাজায় এখনো কমেনি ইসরাইলের বর্বরতা। উপত্যকার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ৪৪ স্বাস্থ্য কর্মীকে আটকে রেখেছে আইডিএফ। ২ শতাধিক রোগীকে দেখভালের সুযোগ দেওয়া হয়েছে মাত্র কয়েকজন স্বাস্থ্য কর্মীকে। তাণ্ডবের পাশাপাশি হাসপাতালে চালানো হচ্ছে নির্যাতন।
কামাল আদওয়ান হাসপাতালের নার্স মোসেন আলিয়ান বলেন, ‘হঠাৎ চারপাশ থেকে আমাদের ঘিরে ফেলা হয়। গুলি আর মর্টার হামলা চলে। এক পর্যায়ে হাসপাতালের পুরুষ স্টাফদের নগ্ন করে আটকে রাখা হয়। হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়ে তছনছ করা হয়। শুধু নারী স্বাস্থ্যকর্মীরাই সেবা দিতে পারছিলেন।’
লেবাননের আত্মরক্ষা ও ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরাইলে রকেট ও ড্রোন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে হিজবুল্লাহ। তবে হামলার আগেই উত্তর ইসরাইলের ২৫টি এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরে যাবার নির্দেশ দেয় প্রতিরোধ যোদ্ধারা। ইরাকের ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স ৩টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে গোলান মালভূমি ও বন্দর নগরী এইলাটে।
এদিকে জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে ইসরাইলে। রাজধানী তেল আবিবে শনিবার রাতে এই বিক্ষোভে যোগ দেন কয়েকশ মানুষ।