মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন
0

হিজবুল্লাহ-ইসরাইলের মধ্যে ২১ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ফ্রান্সের

সামরিক বাহিনীর প্রধানের স্থল অভিযান প্রস্তুতির ঘোষণা দেয়ার পর লেবাননে হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে ইসরাইল। গেল ছয় দিনে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ৬২০ জনে। এদিকে হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের মধ্যে সাময়িক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ তাদের মিত্রদেশগুলো। ২১ দিনের সাময়িক যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছে ফ্রান্স।

বর্বরতার সকল মাত্রাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে লেবাননে ইসরাইলি আগ্রাসন। কেবল বুধবারই (২৫ সেপ্টেম্বর) মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছেন অর্ধশতাধিক লেবানিজ। এতে ছয় দিন ব্যাপী যুদ্ধে লেবাননে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬০০।

হিজবুল্লাহকে ধ্বংসে স্থল অভিযান প্রস্তুতির ঘোষণা দেয়ার পর সীমান্তবর্তী অঞ্চলে হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে ইসরাইল। এতে লেবাননজুড়ে বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে পাঁচ লাখ। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের পর নিজ নাগরিকদের বৈরুত ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।

এমন পরিস্থিতিতে হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের মধ্যে সাময়িক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ১২ মিত্ররাষ্ট্র। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তার দেশ কাজ করছে ২১ দিনের সাময়িক যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে। তবে, যুদ্ধবিরতি চাইলেও ইসরাইলের পক্ষেই এদিন সাফাই গায় যুক্তরাষ্ট্র।

জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের উপ রাষ্ট্রদূত রবার্ট উড বলেন, 'আমরা যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়া রোধে কাজ করছি। যদিও আমরা পরিষ্কার করেছি হিজবুল্লাহর হামলার বিরুদ্ধে ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।'

ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জঁ নোয়েল ব্যারট বলেন, 'এখনও কূটনৈতিক সমাধান সম্ভব। আমরা যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের সঙ্গে ২১ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছি। শীঘ্রই প্রস্তাবটি জনসম্মুখে উন্মুক্ত করা হবে। বেসামরিক জনগণকে রক্ষায় প্রস্তাব মেনে নিন।'

তবে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরাইল। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরাইলি প্রতিনিধি জানান, কূটনীতি ব্যর্থ হলে লক্ষ্যে পৌঁছাতে যেকোনো উপায় অবলম্বন করবে তার সরকার। তবে পূর্ণমাত্রায় লেবাননে যুদ্ধ শুরু হলে তেহরান চুপ করে বসে থাকবে না বলে সতর্ক করেছেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি বলেন, 'আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ইরান অনেক ধৈর্য ধারণ করেছে। আমাদের দেশ নিজেদের স্বার্থকে আগে গুরুত্ব দিবে। তাই লেবাননে পুরোদমে যুদ্ধ শুরু হলে ইরান বসে থাকবে না। আমরা যেকোনোভাবে লেবাননের জনগণের পাশে থাকবো।'

জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন বলেন, 'লক্ষ্য পূরণের সক্ষমতা আছে আমাদের। যদি কূটনীতির মাধ্যমে আমাদের উত্তরের বাসিন্দারা নিজেদের বাড়ি ফিরে যেতে না পারে, সেক্ষেত্রে লক্ষ্য পূরণে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যেকোনো উপায় অবলম্বন করবে ইসরাইল।'

এদিকে, লেবাননের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বুধবার রাতে স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদের রাস্তায় নেমে আসের হাজারও বাসিন্দা। এসময় ফিলিস্তিন ও লেবাননের পতাকা গায়ে জড়িয়ে দ্রুত যুদ্ধবিরতি কার্যকরের দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।

এসএস