রাতের আকাশ চিরে একের পর এক কাতইউশা রকেট ছোঁড়া হয়েছে ইসরাইলি ভূখণ্ডে। ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে ধারাবাহিক এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে লেবাননভিত্তিক সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমের খবর, আপার গ্যালিলি এলাকা লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় অন্তত ৫০টি রকেট। ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী আয়রন ডোম দিয়ে বেশিরভাগ রকেট আকাশেই ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এছাড়াও রকেট হামলার পাল্টা জবাব হিসেবে শনিবার মধ্যরাতে লেবাননে হিজবুল্লাহ'র রকেট লঞ্চারে হামলার দাবিও করেছে তেল আবিব।
চলতি সপ্তাহে তেহরানে গাজার নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার জবাব দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ইরান। অন্যদিকে বৈরুতে কমান্ডার ফাউদ শুকরকে হত্যায় ক্ষোভের সীমা ছাড়িয়েছে ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহরও। গেল কয়েক মাস ধরে যে সংঘাত কেবল সীমান্তে এলাকায় সীমিত ছিল, প্রতিশোধের উন্মাদনায় এখন তা পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নেয়ার অপেক্ষায়। যুদ্ধকবলিত লাখ লাখ সাধারণ ফিলিস্তিনির অস্ত্রবিরতির প্রতীক্ষাকে ছাপিয়ে গেছে প্রিয় নেতা হত্যার শোক।
ইরান-ইসরাইল-লেবাননকে ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন যুদ্ধের শঙ্কা দানা বাঁধতে থাকার মাঝেই, লেবাননে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের বিমানের টিকেট পাওয়া মাত্রই দেশে ফেরার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নিজ দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে অতিরিক্ত সেনা কর্মকর্তা, দূতাবাসকর্মী, সীমান্তরক্ষী সেনা ও দু'টি সামরিক জাহাজ পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য। প্রস্তুত অভিজাত রয়্যাল এয়ার ফোর্সের হেলিকপ্টারও।
নাগরিকদের জরুরিভাবে ফেরার পরামর্শ দিয়েছে ফ্রান্স, সুইডেন আর জর্ডানসহ অন্যান্য দেশও। লেবানন ভ্রমণ এড়িয়ে চলতে নাগরিকদের সতর্ক করেছে কানাডাও। এরই মধ্যে লেবানন থেকে বেশ কিছু ফ্লাইট স্থগিত বা বাতিল করেছে বেশ কিছু বিমান সংস্থা। বাকিগুলোরও টিকেট প্রায় শেষের দিকে।
ইরান ও মিত্রদের সংঘবদ্ধ হামলা থেকে ইসরাইলকে রক্ষায় অতিরিক্ত রণতরী ও যুদ্ধবিমান মধ্যপ্রাচ্যে পাঠাচ্ছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। গেলো এপ্রিলেই ১৭০টি ড্রোন, ৩০টি ক্রুজ মিসাইল ও কমপক্ষে ১১০টি ব্যালিস্টিক মিসাইল দিয়ে ইসরাইলে আকাশ পথে অভিযান চালায় ইরান।