যুদ্ধ , মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন
0

দুই মাস আগে বসানো বিস্ফোরকে ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা

প্রায় ২ মাস আগে স্থাপন করা একটি বিস্ফোরকের মাধ্যমেই হত্যা করা হয়েছে হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসে উঠে এসেছে এই তথ্য। যে ভবনে তিনি অবস্থান করছিলেন, তাতে আগে থেকেই বিস্ফোরক স্থাপন করা ছিলো বলে নিউইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্য।

মিত্র দেশ ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে তেহরানে গিয়ে আর জীবিত ফিরতে পারেননি হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া। মঙ্গলবার রাতে তেহরানে সেনাবাহিনীর বিশেষ একটি ভবনে তাকে হত্যা করা হয়। শুরুর দিকে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, তাকে হত্যা করা হয়েছে গাইডেড মিসাইল দিয়ে।

কিন্তু সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করা হয়েছে প্রায় দুই মাস আগে পুঁতে রাখা বিস্ফোরক দিয়ে। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন সূত্র বলছে, হামাসের রাজনৈতিক প্রধানকে পাচার করে গেস্টহাউজে স্থাপন করে রাখা বোমা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

ইরান আর মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, ইরানের রাজধানীতে অবস্থিত এই ভবনটিকে ইরানের রেভ্যুলুশনারি গার্ড কর্পসের কড়া নিরাপত্তায় রাখা হয়। এই বিস্ফোরকটি ভবনটিতে লুকিয়ে রাখা হয়েছিলো দুই মাস আগে।

আইআরজিসি জানায়, হানিয়ার কক্ষেই বিস্ফোরিত হয় বোমাটি। ভেঙে যায় কক্ষের জানালা, এক পাশের দেয়ালও ধসে পড়ে। তেহরান আর হামাস দুই পক্ষই বলছে, এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে ইসরাইল।

ইসরাইলের পররাষ্ট্র গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া আগেই বলেছিলেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলায় যারা জড়িত, তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। হামাস-ইসরাইলের চলমান এই যুদ্ধে অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে পড়েছে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে।

আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি আর আইআরজিসি সরাসরি এই হত্যাকাণ্ডের কড়া জবাবের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ইসমাইল হানিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হয় তেহরানে। হানিয়াকে দাফন করা হবে কাতারের রাজধানী দোহায়।

এদিকে এই উত্তেজনার মধ্যে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ'র সঙ্গেও সীমান্তে হামলা পাল্টা হামলা চলছে ইসরাইলের। বৈরুতে ইসরাইলের হামলার জেরে দেশটিতে সারি সারি রকেট ছুড়েছে হিজবুল্লাহ।

এর মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আবারও বলেছেন, ইরানের হুমকি আর হামলা মোকাবিলায় ইসরাইলকে সহযোগিতা করবে যুক্তরাষ্ট্র। প্রয়োজনে এই অঞ্চলে মোতায়েন করা হতে পারে সামরিক সরঞ্জাম আর সেনাবাহিনী। যুক্তরাষ্ট্র আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে আলোচনা চলছে কিভাবে এই অঞ্চলে সংঘাত থামানো যায়।