ইসরাইল-হামাস সংঘাত যত দীর্ঘায়িত হচ্ছে নিজ দেশে জনসমর্থন হারাচ্ছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গাজা যুদ্ধের আট মাস পরও জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ ইসরাইলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আরব নেতারা মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় নামলেও আমলে নিচ্ছেন না নেতানিয়াহু।
এমন বাস্তবতায় গেল শনিবার আবারও রাজপথে নেমেছেন জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরা। গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, জিম্মিদের দ্রুত ফিরিয়ে আনাসহ নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল তেল আবিব।
বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, 'হামাসের হাতে যারা জিম্মি, তাদের হয়ে কথা বলতে এসেছি। কিছুদিন পরপরই সমঝোতার গুঞ্জন শুনি, তারপর সব আবার আগের মতো হয়ে যায়। আমার ভাই কেইথের জন্য এখানে এসেছি। ২৬৭ দিন ধরে সে জিম্মি অবস্থায় আছে। তার কথা আপনাদের কান পর্যন্ত পৌঁছাবে না। আমি কেইথের হয়ে কথা বলতে এসেছি।'
বিক্ষোভে অংশ নেয়া অনেকের হাতে ছিল জিম্মি হওয়া স্বজনের ছবি। যুদ্ধ করে কী লাভ, সাধারণ মানুষ তা বোঝে না। পরিবারের আদরের সদস্য যেন নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারে। এর চেয়ে বেশি কিছু চান না তারা।
অপর এক বিক্ষোভকারী বলেন, 'বাইডেন প্রশাসন জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার সমঝোতা প্রস্তাব নবায়নের চেষ্টা করছে। কিন্তু নেতানিয়াহুর জেদের কারণে জিম্মিদের ঘরে ফেরা হচ্ছে না। তিনি কোনো কিছুর বিনিময়েই যুদ্ধ বন্ধ করবেন না। নেতানিয়াহুর হাত থেকে এই রক্তের দাগ কোনোদিনও মুছবে না। কারণ, তিনি যে কোনো মূল্যে যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন।'
এদিন তেল আবিবে বিচ্ছিন্নভাবে বেশ কয়েকটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় সরকার বিরোধী একদল বিক্ষোভকারী রাজধানীর একটি সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে আলাদা ভাগে বিভক্ত হয়ে শহরের অন্যান্য সড়ক ঘুরেন বিক্ষোভকারীরা।
এদিকে তাপমাত্রা আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে থাকায় প্লাস্টিকের তাবুতে আশ্রয় নেয়া ফিলিস্তিনিদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। তাদের আশঙ্কা, শরণার্থী শিবিরের আশপাশে আবর্জনার স্তূপ ও নর্দমায় জমতে থাকা ময়লা থেকে ছড়াতে পারে মারাত্মক রোগ-বালাইও।