১৯৪৭ সালে ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইসরাইলকে অর্থনৈতিক, সামরিক, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। সাত মাস আগে গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই তেলআবিবকে শক্তি যোগাচ্ছে ওয়াশিংটন। এরই মধ্যে শত শত কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা পাঠানো হয়েছে।
১০ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়স্থল রাফাহ শহরকে এখন হামলার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করায় কিছুটা বেঁকে বসেছে যুক্তরাষ্ট্র। বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে শহরটিতে হামলা না চালানোর জন্য বারবার ইসরাইলকে চাপ দিচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। সম্প্রতি কোটি ডলারের একটি বোমার চালানও স্থগিত করে দেয়া হয়েছে। যেখানে ১৮শ' থেকে দুই হাজার পাউন্ড ওজনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বোমা ছিল।
ওয়াশিংটনের এমন চাপ সত্ত্বেও পাত্তা দিচ্ছে না ইসরাইল। শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা আমাদের শত্রুদের যেকোনো উপায়ে পরাস্ত করতে চাই। মার্কিন সহায়তা না থাকলেও ইসরাইল একাই লড়বে। প্রয়োজনে আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে লড়াই করে যাব। তবে আমাদের কাছে অনেক কিছু আছে, আমরা জয়ী হবই।
এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। যেখানে বলা হচ্ছে, অস্ত্রের একটি চালান আপাতত বন্ধ হলেও আরও কয়েক বিলিয়ন ডলারের মার্কিন অস্ত্র পেতে যাচ্ছে ইসরাইল। যেগুলো পাইপলাইনে অপেক্ষা করছে। তবে এগুলো গত মাসে পাস হওয়া সামরিক সহায়তায় আওতায় থাকা অস্ত্র নয়।
সিনেটর জিম রিশ জানান, ট্যাংক, মর্টার, সাঁজোয়া যানসহ বহু সামরিক সরঞ্জাম ইসরাইলে পাঠানোর কথা রয়েছে। এই যুদ্ধাস্ত্রগুলো যত তাড়াতাড়ি অনুমোদন দেয়ার কথা, তত তাড়াতাড়ি দেয়া হচ্ছে না। তবে সাধারণত ইসরাইলের জন্য দেয়া সহায়তা কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পর্যালোচনা শেষ করা হয়।
ইসরাইলের অস্ত্র ও গোলাবারুদের সবচেয়ে বড় যোগানদাতা যুক্তরাষ্ট্র। বছরে দেশটিকে বৈদেশিক সামরিক সহায়তার আওতায় ৩৮০ কোটি ডলার দেয় ওয়াশিংটন।