বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জিম্মি এলাদ কাৎজিরের মরদেহ উদ্ধার করার পর তেল আবিবসহ ইসরাইলের অন্যান্য শহরে সমাবেশ হয়।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সমাবেশে বিক্ষোভকারীরা ‘এখনই নির্বাচন’ এবং ‘এলাদ, আমরা দুঃখিত’ বলে স্লোগান দেন।
ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যকার চলমান যুদ্ধের ছয় মাস পূর্ণ হচ্ছে আজ রোববার। গাজায় থাকা জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরা ইসরাইলের সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যোগ দেন।
বিক্ষোভকারীরা গাজায় হামাস ও তার সহযোগীদের হাতে থাকা প্রায় ১৩০ জিম্মিকে মুক্ত করতে ইসরাইল সরকারের অক্ষমতা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন।
গতকাল শনিবার গাজা থেকে এলাদের মরদেহ উদ্ধার করে আইডিএফ। গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইল হামাস হামলা চালিয়ে তাকেসহ অন্যদের জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গিয়েছিল হামাস। গত জানুয়ারিতে হামাস প্রকাশিত এক ভিডিওতে এলাদকে জীবিত দেখা গিয়েছিল।
প্রতিবাদকারী নোয়াম পেরি বলেন, ‘এলাদ তিন মাস বন্দিদশায় টিকে থাকতে পেরেছিলেন। তাঁর আজ আমাদের সঙ্গে থাকা উচিত ছিল। তিনি আজ আমাদের সঙ্গে থাকতে পারতেন।’
আয়োজকেরা বলেন, বিক্ষোভকারীরা ইসরাইলের প্রায় ৫০টি জায়গায় সমাবেশ করেছেন। গাজায় থাকা অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ব্যর্থতা নিয়ে ইসরাইলিদের মধ্যে ক্ষোভ কাজ করছে।
এই ক্ষোভ থেকে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে ইসরাইলে একের পর এক বড় ধরনের সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হচ্ছে। তেল আবিবের বিক্ষোভের মধ্যে একটি গাড়ি ঢুকে পড়েছিল। এতে পাঁচজন আহত হন। এ ঘটনার কারণ অস্পষ্ট।
আজ থেকে ঠিক ছয় মাস আগে গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালিয়েছিল হামাস। সেই থেকে নৃশংস গাজা যুদ্ধ শুরু।