সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরাইলের হামলার জেরে আবারও অস্থির মধ্যপ্রাচ্য। হামলায় ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের দুই জ্যেষ্ঠ কমান্ডারসহ ১৩ জন নিহত হওয়ায় ইসরাইলের ওপর প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। ইরানের প্রেসিডেন্টের রাজনৈতিক উপদেষ্টা মোহাম্মাদ জামশিদি এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে নাক না গলাতে সতর্ক করেছে। তার দাবি, প্রতিশোধমূলক হামলায় যেন কোন মার্কিনি ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেই আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এমন দাবির বিষয়ে মন্তব্য করেনি ওয়াশিংটন।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন বলছে, সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলার পরপরই ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ করে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবারের এ হামলার বিষয়ে আগাম গোয়েন্দা তথ্য ছিলো না বলে দাবি পেন্টাগনের। বিরল এ যোগাযোগের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র নিজের নাগরিকদের সম্ভাব্য হামলা থেকে রক্ষা করতে চাইছে বলে অভিমত ব্লুমবার্গের।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন সরকারের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার দাবি-ইরান ইসরাইলে হামলা করবেই। গোয়েন্দা তথ্যমতে, হামলা হতে পারে আগামী সপ্তাহের মধ্যে। আর এতে ব্যবহার করা হবে এক ঝাঁক কামিকাজি ড্রোন ও ক্রুজ মিসাইল।
এদিকে ইরান কনস্যুলেটে হামলাকে হামাস-ইসরাইল যুদ্ধের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে অভিহিত করলেন হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ। জানান, নিজেদের সক্ষমতার পুরোটা ব্যবহার না করেই ইসরাইলের উত্তরে সফলতা পেয়েছে হিজবুল্লাহ।
হাসান নাসরাল্লাহ বলেন, 'ইরানি কনস্যুলেটে ইসরাইলের হামলা যুদ্ধের টার্নিং পয়েন্ট। নিশ্চিত থাকুন এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ইসরাইলের ওপর বড় ধরনের জবাব অপেক্ষা করছে।'
এদিকে ইরানের হামলা প্রতিহতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে ইসরাইল। পূর্ব সতর্কতা হিসেবে তেল আবিবে আশ্রয় কেন্দ্র খোলার পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। বাতিল করা হয়েছে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের ছুটি। জেরুজালেম পোস্টের খবর- হামলার ভয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কয়েকটি দূতাবাস ও কনস্যুলেট বন্ধ রেখেছে নেতানিয়াহু সরকার। এমনকি ইরান যাতে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো চিহ্নিত না করতে পারে, সেজন্য ইসরাইলজুড়ে বন্ধ রাখা হয়েছে জিপিএস পরিষেবা।