ইসরাইলি আগ্রাসনে খাবার, ওষুধ ও চিকিৎসার চরম সংকটে আছে গাজাবাসী। এমন বিপর্যয়ের মধ্যেও আল-শিফা হাসপাতালে আবারও ভায়াবহ অভিযান চালানো হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
তবে ইসরাইলি বাহিনীর দাবি, হাসপাতাল ভবনটিতে হামাসের জ্যেষ্ঠ সদস্যরা অবস্থান করছেন জানতে পেরে হামলা চালানো হয়েছে। একই দাবিতে লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনির আশ্রয়স্থল রাফাহ শহরেও বাড়ানো হচ্ছে হামলার মাত্রা।
এ অবস্থায় মানবিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দ্রুত যুদ্ধবিরতি চুক্তি করার ব্যাপারে জোর দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এর জন্য যে করেই হোক রাফাহ শহরে পূর্ণ মাত্রার আক্রমণ বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট। মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষরের পর কায়রোতে এসব কথা বলেন।
ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন বলেন, 'রাফাহ শহরে আক্রমণের কারণে বেসামরিক জনগণের ওপর যে ঝুঁকি তৈরি হতে পারে, তা নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। যেকোন মূল্যে এই আক্রমণ বন্ধ করা হবে। এরই মধ্যে রাফাহ শহরে ইসরাইলি সামরিক অভিযান থামানোর বিষয়ে ইইউ নেতাদের সঙ্গে আমরা আমরা একমত হয়েছি।'
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো কথাকে পাত্তা দিচ্ছেন না ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। রোববার (১৭ মার্চ) জেরুজালেমে জার্মান চ্যান্সেলরকে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘রাফাহ শহরে হামাস যোদ্ধারা রয়েছেন, তাই তাদের সামরিক অপারেশন এগিয়ে যাবে।’
নেতানিয়াহু বলেন, 'রাফাহতে অবশিষ্ট হামাস সদস্যদের নির্মূল করাই আমাদের লক্ষ্য। বেসামরিকদের রাফাহ থেকে সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে। কারণ আমরাও চাই বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা কমে আসুক। আমাদের বিবেচনা আমাদেরকে পথ দেখিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও পথ দেখাবে।'
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে ৩১ হাজার ৬শ'র বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৩ হাজার ৬শ'র বেশি। হতাহতের বেশিরভাগই শিশু ও নারী।





