ইউরোপের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের বাণিজ্য ব্যবস্থা সহজ করাই এর লক্ষ্য। এই টানেল পার্শিয়ান গালফে অবস্থিত নির্মাণাধীন আল ফাও বন্দরকে মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত করবে।
পাশাপাশি ইরাক থেকে জর্ডান আর তুর্কিয়ে পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সড়ক তৈরি হবে। অর্থনৈতিক প্রকল্প হিসেবে এই প্রকল্প পরবর্তীতে কাজ করবে।
ইরাকি পোর্টসের মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার ফারহান আল ফারতুসি বলেন, 'পুরো প্রকল্পটি ট্রানজিট প্রকল্প হিসেবে কাজ করবে। পূর্ব থেকে পশ্চিমে পণ্য পরিবহনে ভূমিকা রাখবে এই টানেল। মাটির নিচ দিয়ে যাওয়া এই টানেল যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি ভূমিকা রাখবে বাণিজ্যেও। দুই অঞ্চলের অর্থনৈতিক বেল্ট হিসেবেও ভূমিকা রাখবে এটি।'
খোর আল জুবাইর ক্যানেলের নিচে নির্মাণাধীন এই টানেলের দৈর্ঘ্য ২ হাজার ৪৪৪ মিটার। দুই লেনের এই টানেলের প্রতি পাশে আছে আরও তিনটি লেন। ট্রাফিক এড়িয়ে যেন কন্টেইনারবাহী ট্রাক চলাচল সহজ হয়।
পানির উচ্চতা থাকবে ১৮ মিটার, যেন এই টানেল থেকে বের হয়ে খোর আল জুবাইর বন্দর দিয়ে বাণিজ্যিক জাহাজ সহজে পার হতে পারে।
ইঞ্জিনিয়ার ফারহান আল ফারতুসি আরও বলেন, 'যখন আল ফাও বন্দর থেকে পণ্য খালাস হবে, সেগুলো অবশ্যই ইউরোপের দিকে যাবে। আগে তো রেলপথে পণ্য যেতো, এখন সড়ক পথেও যাবে। ভূমি কিছুটা ফাপা হওয়ায় খোর আল জুবাইর ক্যানেলের মধ্যে বেশ সাবধানতার সঙ্গে তৈরি হচ্ছে এই টানেল।'
এখন পর্যন্ত এই টানেলের ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ইরাক বলছে, এই টানেল মধ্যপ্রাচ্য আর ইউরোপের মধ্যে কম সময়ে পণ্য পরিবহনের বাণিজ্যিক করিডোর তৈরি করবে। পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতেও ভূমিকা রাখবে। মধ্যপ্রাচ্যে এই প্রথম এ ধরনের টানেল তৈরি হচ্ছে।