গাজায় আগ্রাসনের প্রতিবাদ হিসেবে সমুদ্রে বাণিজ্যিক হামলা বাড়িয়েছে ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠী। সবশেষ লোহিত সাগরে একটি মার্কিন রণতরী ও ইসরাইলের দুটি বাণিজ্যিক জাহাজকে লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তারা।
এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি ড্রোন হামলা ঠেকানোর দাবি করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এই হামলা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও সমুদ্রে নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি। আর ইসরাইলের দাবি, ইরানি অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই জলপথকে বিপজ্জনক করে তুলছে হুতি সদস্যরা।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, 'আমাদের দুটি বাণিজ্যিক জাহাজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হয়েছে। একটি জাহাজ উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আরেকটি জাহাজের সামান্য ক্ষতি হয়েছে। এটি হুতিদের নেতিবাচক ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অংশ।'
উত্তর ইয়েমেনের হোদেইদা বন্দরে একটি কনটেইনারবাহী জাহাজও ড্রোন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি যুক্তরাজ্যের। ইয়েমেনের সামরিক বাহিনী বলছে, ইসরাইলি জাহাজ ইয়েমেনের সতর্কবার্তা উপেক্ষা করায় হামলা হয়েছে।
ইয়েমেন’র হুতি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারেয়া বলেন, 'প্রথম জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র এবং দ্বিতীয় জাহাজে ড্রোন দিয়ে হামলা হয়। গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের বর্বরতা বন্ধ না হলে ভবিষ্যতে আরও জাহাজে হামলা হবে।'
গত ১৯ নভেম্বর লোহিত সাগরে ইসরায়েলের জাহাজ আটক করার দাবি করেছিল ইয়েমেন। এর আগে ইসরাইলের জাহাজ দেখা মাত্রই হামলার হুমকি দেয় দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী।