মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন
0

ইসরাইলকে কম দামে অস্ত্র দিবে যুক্তরাষ্ট্র

শাহনুর শাকিব

যুক্তরাষ্ট্রের জরুরি অস্ত্রভাণ্ডার থেকে ইসরাইলকে অস্ত্র সহায়তা দিতে সব ধরনের বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার পথে হোয়াইট হাউজ। হোয়াইট হাউজ বলছে, মার্কিন সিনেটের পক্ষ থেকে আবেদন গ্রহণ করা হলেই হামাস নির্মূলে তেল আবিবকে অস্ত্র সহায়তা দেয়া সহজ হবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য।

গেলো ২০ অক্টোবর মার্কিন সিনেটের কাছে হোয়াইট হাউজ প্রস্তাব দেয়, নিজেদের সম্পূরক বাজেটে যেন ইসরাইলকে সহায়তার জন্য নিয়মনীতি শিথিল করা হয়। এই অনুরোধ গ্রহণ করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী অস্ত্র কম খরচে সহজেই পাবে ইসরাইল।

এই অনুরোধ 'ওয়ার রিজার্ভ অ্যালাইস ইসরাইল'য়ের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ সহজ করবে। যেখানে ইসরাইলভিত্তিক যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রের মজুত আছে। এখানে আছে স্মার্ট বোমা, ক্ষেপণাস্ত্র, সাঁজোয়া যানসহ অন্যান্য অস্ত্র।

১৯৮০ সালে তৈরি হওয়া শক্তিশালী এই অস্ত্রের মজুত পেন্টাগন ব্যবহার করে আঞ্চলিক সংঘাত সমাধানে।

মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র দেশ ইসরাইল। এই মজুত থেকে বিভিন্ন সময়ে কম খরচে ইসরাইলও অস্ত্র কিনেছে। তখনকার পরিস্থিতি ভিন্ন থাকলেও এখন হোয়াইট হাউজ যে আবেদন করেছে, তাতে ইসরাইলকে সব ধরনের প্রতিরক্ষা পণ্য দিতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র।

বছরে কি পরিমাণ অস্ত্র সরবরাহ করা যাবে, সেই বিষয়েও বিধিনিষেধ থাকবে না। এই মজুত পরিপূর্ণ রাখতে প্রতি অর্থবছর ২০ কোটি ডলার ব্যয় করে যুক্তরাষ্ট্র, অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে যা অর্ধেক।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনৈতিক-সামরিক বিষয়ক সাবেক কর্মকর্তারা বলছেন, হোয়াইট হাউজের এই আবেদন মজুত থেকে ইসরাইলকে নিরবচ্ছিন্নভাবে অস্ত্র পাওয়ার পথ পরিষ্কার করে দিচ্ছে।

বছরে গড়ে ৩৮০ কোটি ডলারের অস্ত্র সহায়তা ইসরাইলকে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যা অন্য যেকোন দেশের তুলনায় সর্বোচ্চ। গেল ৭ অক্টোবর গাজায় সেনা অভিযান শুরুর পর থেকে এই পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ওয়াশিংটন।

আবারও ১ হাজার ৪৩০ কোটি ডলারের জরুরি সামরিক সহায়তা তেল আবিবকে দেবে ওয়াশিংটন।

এসএস