অতীতের সব ক্ষয়ক্ষতি ছাড়িয়ে গেছে গাজায়

International Desk
0

যুদ্ধের কারণে পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে গাজার অর্থনীতি। কর্মসংস্থান গুটিকয়েক মানুষের থাকলেও সব ধরনের ব্যবসা বাণিজ্যে ধস নেমেছে।

সরকারের পক্ষ থেকে মজুরি পাওয়া শ্রমিকের সংখ্যাও বেশ নগণ্য। উপত্যকায় বন্ধ হয়ে গেছে সব বেকারি। বিশ্লেষকরা বলছেন, অতীতের সংঘাতের তুলনায় এবারের অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েকগুণ বেশি, যা পুনর্গঠনে সময় লেগে যাবে বছরের পর বছর। বিস্তারিত জানাচ্ছেন ঈষিতা ব্রহ্ম।

গেলো ৭ অক্টোবার থেকে গাজায় চলছে ইসরাইলের সেনা আগ্রাসন। গাজা উপত্যকার অর্থনৈতিক অবস্থা আগেও খুব একটা ভালো ছিলো না। কিন্তু হামাসের সঙ্গে ইসরাইলি সেনাদের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গেলো গেলো দেড় মাসে পুরোপুরি বিপর্যয় নেমে এসেছে এই উপত্যকার অর্থনীতিতে। বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস বলছে, গাজার প্রবৃদ্ধি তো কমবেই, সেইসঙ্গে মাথাপিছু আয়, জীবনমানও নিম্নমুখী হবে।

ফিলিস্তিনের ইকোনমিক পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট বলছে, যতোদিন গাজায় সংঘাত চলবে, ততোদিন অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকবে। ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত এই অঞ্চলে ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ লাখের বেশি ঘরবাড়ি। ৪০ শতাংশ আবাসিক ভবন ভেঙে গেছে, যেগুলো মেরামতে অনেক সময় প্রয়োজন। বিদ্যুত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে সময়ের পাশাপাশি প্রয়োজন মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ।

সংস্থাটি বলছে, কি পরিমাণ অর্থ আর সময়ের প্রয়োজন, অনুমান করেও বলা কঠিন। এর আগে ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এবারের যুদ্ধে তারচেয়ে ৪ থেকে ৫ গুণ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজা। ২০০৭ সাল থেকেই গাজা স্থল, জল আর আকাশপথে অবরুদ্ধ।

এখন সংঘাতের কারণে খাদ্য, জ্বালানি, বিদ্যুত, পানি আর ওষুধের সরবরাহ অনেকটাই কমে গেছে। এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে গাজার বছরের পর বছর সময় লাগবে বলে মনে করে ফিলিস্তিনের ইকোনমিক পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট।