দ্বিতীয় দফার হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতি যখন আলোচনার টেবিলে তখনও ফিলিস্তিনিদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি সেনারা। আজ (শনিবার, ১৫ মার্চ) দুপুরে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের রাফাহ সীমান্তের কাছে ফাঁকা গুলি ছোড়ে তারা। ঠিক কী লক্ষ্য করে হঠাৎ এতো চড়াও হয়েছে তা স্পষ্ট নয় স্থানীয়দের কাছেও।
গাজার পাশাপাশি তাণ্ডব চালিয়েছে পশ্চিমতীরেও। পবিত্র রমজানের মধ্যেও গণহারে আটক ও ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে নরকে পরিণত করছে ফিলিস্তিনিদের জীবন।
একজন স্থানীয় বলেন, ‘কিছুই করার নেই। সৃষ্টিকর্তাই কেবল সহায়তা করতে পারেন আমাদের। সময়টা খুবই খারাপ যাচ্ছে। শয়তানের মতো ইসরাইলিরা আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।’
আরেকজন বলেন, ‘খুব খারাপ সময় পার করছি। তারা আমার বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মায়ের সব স্মৃতি নষ্ট হয়ে গেছে।’
গাজার এই সংকট থেকে উত্তরণে দ্বি-রাষ্ট্রনীতির কোনো বিকল্প নেই বলে মত লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর।
লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব বলেন, ‘গত আট দশকের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনিরা এই সংকটের মধ্যে রয়েছে। বিশ্বের মধ্যে তারাই একমাত্র অভাগা যাদেরকে অবরুদ্ধ রেখে হত্যা করা হয়। এই সংকট সমাধানে তাদেরকে নিজ ভূ-খণ্ড দেয়ার কোন বিকল্প নেই।’
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে আটক ফিলিস্তিনি সমর্থক মোহাম্মদ খলিলকে মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছেন কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। একে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলছে ওয়াশিংটন। অপরদিকে মোহাম্মদ খলিলকে বর্ণবাদী প্রবণতা থেকেই মার্কিন পুলিশ আটক করেছে বলে দাবি মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন ইরানের সঙ্গে নিউক্লিয়ার ইস্যুতে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন তখন তেহরানের পাশে দাঁড়িয়েছে চীন ও রাশিয়া। শুক্রবার এ ইস্যুতে বেইজিংয়ে ত্রিদেশীয় শীর্ষ কূটনীতিক প্রতিনিধিদের বৈঠক হয়। চীন ও রাশিয়া জানায়, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরানের ওপর থেকে সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় তবেই কেবল নিউক্লিয়ার ইস্যুতে তাদের সঙ্গে আলোচনার গ্রাউন্ড তৈরি হবে।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, ‘এখনই হাল ছেড়ে দিতে চাই না। একতরফা নিষেধাজ্ঞা কেবল সংঘাত বাড়াবে। তবে আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমেই এর সমাধান সম্ভব।’
ইউরো-এশিয়ার বড় তিন দেশ রাশিয়া, চীন ও ইরানের একাত্মতা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।