উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য করার মন্তব্যে ক্ষুব্ধ কানাডীয়রা

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য বলায় ক্ষুব্ধ সাধারণ জনতা থেকে শুরু করে দেশটির রাজনীতিবিদরা। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের পর কানাডাজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে এ বিষয়টি। প্রশ্ন উঠেছে, সত্যিই কি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত হতে যাচ্ছে কানাডা? এমনকি জাস্টিন ট্রুডোর গদি নড়বড়ে হওয়ার পেছনেও দুই দেশের সম্পর্কের অবনতিকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা।

শপথ না নিতেই কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য করার প্রস্তাব দিয়ে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্র তো বটেই খোদ কানাডার রাজনীতিতেও এই মুহূর্তে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ট্রাম্পের এই প্রস্তাব। প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর বিশাল রাষ্ট্রকে ৫১তম অঙ্গরাজ্য বানানোর বিষয়টি বারবার সামনে এনে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে অটোয়ার রাজনৈতিক মহলে উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম নয়া প্রেসিডেন্ট। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডা যুক্ত হওয়ার শঙ্কা নিয়েও এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে।

এ অবস্থায় বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন কানাডার রাজনীতিবিদরা। পদত্যাগের ঘোষণা দেয়া প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিরোধী নেতা পিয়ের পলিভও ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন। সাধারণ মানুষও বলছেন, বারবার এইভাবে খোঁচা দেয়া কোন অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়।

কানাডীয় এক নাগরিক বলেন, ‘আমরা প্রতিবেশী, তারা আমাদের নিরাপত্তার অংশীদার। কিন্তু এটা মনে রাখতে হবে, আমাদের নিজস্ব দেশপ্রেম আছে।’

তবে, বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে নতুন প্রজন্মের মধ্যে। যাদের বেশিরভাগই সমর্থন করেন না বর্তমান ট্রুডোর সরকারকে। তাদের বিশ্বাস, অর্থনীতির ভঙ্গুর দশার জন্য দায়ী বর্তমান লিবারেল সরকার।

কানাডীয় এক তরুণ বলেন, ‘আমার এখানেই জন্ম। যদি এতে আমাদের উপরকার হয়, অর্থনীতি ও ডলার শক্তিশালী হয়, তবে কেন নয়?’

এদিকে মার্কিন বিশ্লেষকরা বলছেন, যে বিষয়টা হওয়ার নয়, তা বারবার বলে জল ঘোলা করে চাপে ফেলার কৌশল নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মাধ্যমে তিনি হিসেব কষে গুনে নেবেন বাণিজ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক। আর এসব কারণে দুই দেশের সম্পর্ক অবনতির দিকে যাচ্ছে বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী লেখক জগলুল হায়দার বলেন, ‘ট্রাম্প তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ক্ষেত্রে তিনি খুব নাছোড়বান্দা। আর যদি যুক্তরাষ্ট্রে ইতিহাসের দিকে তাকায় তাহলে এমন উদাহরণ আমরা দেখতে পাব। যুক্তরাষ্ট্র ১৩ স্টেট নিয়ে শুরু হলেও এখন ৫০ টির মতো স্টেট রয়েছে।’

কেবল কানাডাই নয়, গ্রিনল্যান্ডকেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। তার মেয়াদে এমন বড় কিছু অর্জনের চেষ্টায় তিনি সর্বশক্তি প্রয়োগ করতে পারেন বলেও আশঙ্কা অনেকের।

এএম