৭০ বছরের শাসনামলে খুব কম সময়ই চিকিৎসাকেন্দ্রে যেতে হয়েছে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথকে। তবে তার প্রয়াণের ২ বছর যেতে না যেতেই স্বাস্থ্যগত বিষয় নিয়ে রাজপরিবারের সদস্যদের মধ্যে এসেছে চিন্তার ভাজ। রাজা তৃতীয় চার্লসের পর খবর এলো, তার তার পুত্রবধূ কেট মিডলটনও ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন।
শুক্রবার (২২ মার্চ) এক ভিডিও বার্তায় ক্যান্সারে আক্রান্তের খবর জানান কেট নিজেই। গেল জানুয়ারিতে তলপেটে বড় সার্জারির পর জনসম্মুখ থেকে আড়ালে ছিলেন প্রিন্সেস অব ওয়েলস। সার্জারির জন্য কেট ও প্রোস্টেটের চিকিৎসার জন্য রাজা চার্লস একইসময়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন লন্ডন ক্লিনিকে।
এর কিছুদিন পর রাজপ্রাসাদ থেকে রাজার ক্যান্সারের খবর প্রকাশ করায় কেটের অসুস্থতার ধরন নিয়েও ছিল ধোঁয়াশা। তবে কোন ধরনের ক্যান্সারে রাজবধূ আক্রান্ত হয়েছেন, তা জানায়নি কেনসিংটন প্রাসাদ। ফেব্রুয়ারি থেকে চলছে কেটের কেমোথেরাপি।
ব্রিটিশ রাজবধূ কেট মিডলটন বলেন, 'অস্ত্রোপচারের পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানা যায় শরীরে ক্যান্সারের উপস্থিতি আছে। মেডিকেল টিমের পরামর্শ মতো চিকিৎসা নিচ্ছি। বর্তমানে কেমোথেরাপির প্রাথমিক ধাপে আছি।'
উইলিয়ামের সঙ্গে কেটের প্রায় ১৩ বছরের দাম্পত্য জীবনে আছে তিন সন্তান। পরিবারের ছোট সদস্যদের মানসিক অবস্থার কথা চিন্তা করেই এতদিন ক্যান্সারের কথা গোপন রেখেছিলেন প্রিন্সেস অব ওয়েলস। ক্যান্সার নিরাময়ের দীর্ঘ যাত্রায় পরিবার ও সমাজ থেকে মানসিক সমর্থন কেটকে সুস্থ করে তুলবে বলে আশাবাদী বিশেষজ্ঞরা।
যুক্তরাষ্ট্র নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. শীতল কির্চার বলেন, 'সহকর্মীদের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শকরা রোগীকে ক্যান্সার মোকাবিলায় সাহস দিয়ে আরও ভালো দিকে নিতে পারে। আশার কথা হলো, রাজবধূকে সাহায্য করার জন্য সবাই আছেন।'
প্রিন্সেস অব ওয়েলসের সুস্থতায় বার্তা এসেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের তারকা ও রাজপরিবারের শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে।