২০২৪ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের ব্যানারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি পিটিআই'র কোনো প্রার্থী। ব্যবহার করতে দেয়া হয়নি বিখ্যাত ক্রিকেট ব্যাটের মার্কাও। তারপরেও, ৯৩টি আসনে জয় পান পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা- যা ছিল ঐ নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে এক বছর পূরণ হওয়ায় গেল শনিবার উত্তর পশ্চিমের শহর সোয়াবিতে মহাসমাবেশ করেছে কারাবন্দি ইমরান খানের কর্মী সমর্থকরা। জনগণের ম্যানডেট নিয়ে ছিনিমিনি খেলায় এই দিনটিকে পাকিস্তানের ইতিহাসে 'কালো অধ্যায়' হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বিক্ষোভকারীরা। এদিন, পিটিআই প্রধান ইমরান খানসহ অন্যান্য নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবির পাশাপাশি শেহবাজ শরীফ সরকারের পতনের দাবি ওঠে সমাবেশে।
পিটিআই প্রেসিডেন্ট জুনাইদ খান বলেন, ‘যারা তেহরিক-ই-ইনসাফের ম্যানডেট চুরি করেছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, গেল ফেব্রুয়ারিতে যারা ইমরান খানের পাশে ছিলেন, এখনও তারা একই অবস্থান ধরে রেখেছেন। আপনি কিছু মানুষকে পার্লামেন্টের লোভ দেখাতে পারেন। কিন্তু জনগণের হৃদয় জয় করতে পারবেন না।’
পিটিআই চেয়ারম্যান গহর খান বলেন, ‘আপনি জনগণের প্রত্যাশার অবমাননা করলে গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়বে। আর এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অগণতান্ত্রিক যে কোনো শক্তি, আপনার জায়গা দখল করে ফেলবে।’
৮ ফেব্রুয়ারি পিটিআই দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিলেও পাঞ্জাব, বেলুচিস্তান ও রাজধানী ইসলামাবাদে সব ধরনের সমাবেশ নিষিদ্ধ করে শেহবাজ শরীফের সরকার। ফলে খাইবার পাখতুনখোয়ার সোয়াবিতেই কর্মসূচি সীমাবদ্ধ রাখতে বাধ্য হয় পিটিআই।
এদিকে, দ্বিতীয় দফায় পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন ইমরান খান। শনিবার ইমরান খানের এক্স প্রোফাইলে আপলোড করা হয়েছে ঔ চিঠি। চিঠিতে ইমরান দাবি করেন, প্রথম দফায় যে চিঠি দিয়েছিলেন তা জবাব দিতে গিয়ে চূড়ান্ত দায়িত্বহীনতার পরিচয় দেয়া হয়েছে। তার অভিযোগ, স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনাবাহিনী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা পালন করলেও জনগণের সাথে তাদের দূরত্ব বেড়েই চলছে।
এছাড়া, কারাভোগের সময় ৫ দিন বিদ্যুৎহীন অবস্থায় থাকা, টেলিভিশন, সংবাদপত্র ও বই কেড়ে নেয়া ছাড়াও সন্তানদের সাথে কথা বলতে না দেয়ায় বর্তমান সরকার ও সেনাবাহিনীর ওপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইমরান।