চারিয়াল নদীর পানির তোড়ে অনেকেই ভেসে গেছেন। ভেঙে পড়েছে গাছপালা, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক বসতবাড়ি। কেরালার বনমন্ত্রী এ কে শশীন্দ্রন বলেন, ‘ওয়ানাদ জেলায় এই ভূমিধসের পরিস্থিতি ভয়াবহ। সরকারের পক্ষ থেকে সব সংস্থাকে উদ্ধারকাজে নিয়োজিত করা হয়েছে।'
মঙ্গলবারও কেরালায় রেকর্ড বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এর আগে ২০১৮ সালে স্মরণকালের ভয়াবহ বৃষ্টি আর বন্যায় কেরালায় অন্তত ৪শ' মানুষের মৃত্যু হয়।
শশীন্দ্রন আরও জানান, কেরালার সঙ্গে চুরমালাকে সংযোগকারী মূল সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে এ দুটি অঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য অস্থায়ী সেতু নির্মাণে সেনাবাহিনী কাজ করছে।
ত্রাণ তৎপরতার সাথে জড়িত এক বাসিন্দা জানান, মধ্যরাতের দিকে এ এলাকায় অন্তত তিনটি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা মুন্ডক্কাই প্রদেশ থেকে চুরমালার সাথে সংযোগকারী সেতুটি ভেসে গেছে। তিনি আরও জানান, প্রদেশটিতে কর্মরত অনেক শ্রমিক অস্থায়ী তাঁবুতে সেখানে অবস্থান করছিলেন। তারা আটকে পড়া বা নিখোঁজ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
২০১৮ সালের বন্যায় কেরালায় চারশ'রও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, কেরালায় প্রতিবছরই ভারি বৃষ্টিপাত ও বন্যার সম্ভাবনা থাকে। এক বিবৃতিতে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী জানান, ভূমিধসের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা ও উদ্ধারে ভারতীয় বিমানবাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে।