টাইফুন যখন তাইওয়ানে আঘাত হানে তখন তানজানিয়ার পতাকাবাহী কার্গো জাহাজটি দক্ষিণের বন্দর শহর কাওশিউং থেকে কিছুটা দূরে ছিল। তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে আছড়ে পড়া ঝড়টির প্রভাবে তিনজন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
তাইওয়ানে আঘাত হানার আগে গায়েমির প্রভাবে ফিলিপাইনসেও তুমুল বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে আটজনের প্রাণহানি হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।
তাইওয়ানের কোস্টগার্ড জানায়, মালবাহী জাহাজটিতে মিয়ানমারের নয়জন নাগরিক ছিলেন। তারা আরো জানান, গায়ামির প্রভাবে আরো তিনটি জাহাজ তলিয়ে গেছে।
গায়েমির প্রভাবে তাইওয়ানে সমুদ্র উপকূলে বৃহত্তম বার্ষিক সামরিক মহড়াও বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন। এছাড়াও অভ্যন্তরীণ পর্যায়ের পাশাপাশি দুইশোর বেশি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও বাতিল করা হয়েছে। এক সতর্কবার্তায় কর্তৃপক্ষ জানায়, টাইফুনের সবচেয়ে বড় হুমকি হল ভূমিধস এবং আকস্মিক বন্যার সম্ভাবনা।
অন্য প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, দ্বীপ দেশটির ৮ হাজারের বেশি অধিবাসীকে সাময়িক সময়ের জন্য অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়াও দেশটির সরকার কিনমেন বাদে পুরো দ্বীপে কাজ ও ক্লাস স্থগিত করে টাইফুন দিবস ঘোষণা করেছে।