সন্ধ্যায় গুজরাটের আগুন নিভতে না নিভতেই আবারও আগুনের তাণ্ডব দেখলো ভারতবাসী। পর পর দুটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারালো ৭ নবজাতকসহ ১৬ শিশু।
শনিবার (২৫ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নয়া দিল্লির ভিভেক ভিহার অঞ্চলের একটি শিশু হাসপাতালে আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন দমকল কর্মীরা। তাদের ১৬টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও ঠেকানো যায়নি প্রাণহানি।
দায়িত্বরতরা জানিয়েছেন, ভবন থেকে ১২ নবজাতককে উদ্ধার করা হলেও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা ৭ শিশু মারা যায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৫ শিশু।
আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে এখনো কিছু জানায়নি দিল্লির দমকল বিভাগ।
এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় গুজরাটের রাজকোটের একটি গেমিং জোনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৯ শিশুসহ ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর সহকারী পুলিশ কমিশনার বিনায়ক প্যাটেল বলেন, 'অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মৃতদেহগুলো সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। এ কারণে তাদের শনাক্ত করা কঠিন।'
গুজরাট পুলিশ বলছে, গেমিং জোনটিতে বের হওয়ার একটি মাত্র পথ ছিল। পাশাপাশি জোনটিতে ছিল না কোন নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট বা এনওসি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হার্ষ সাঙ্গাভি। পাশাপাশি সুষ্ঠু তদন্তেরও আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন, 'এখনো এক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন। তাকে খুঁজে বের করা আমাদের প্রথম কাজ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধার অভিযান সম্পন্ন করতে অনেকগুলো দল কাজ করছে। আহতদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার পাশাপাশি সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে।'
মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় শোক জানান প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু, ভাইস প্রেসিডেন্ট জগদীপ ধনখড় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ভারতে হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনা এখন নতুন কিছু না। এর আগে ২০২১ সালে মহারাষ্ট্রের ভান্ডারা জেলার একটি হাসপাতালের নবজাতক ইউনিটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১০ শিশুর মৃত্যু হয়। একই বছর এপ্রিলে মহারাষ্ট্রের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় আরও চারজনের। নভেম্বরে ভোপালে কমলা নেহেরু হাসপাতালে প্রাণহানি হয় ৪ নবজাতকের। গেল বছর রাঁচির এক হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে মারা যায় হয় ৫ জন।
বিগত বছরগুলোতে খোদ কলকাতার অন্যতম প্রধান সরকারি হাসপাতাল এসএসকেএম, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, গার্ডেনরিচের বিএনআর হাসপাতাল, শম্ভুনাথ পন্ডিত হাসপাতালে ঘটেছে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড।