শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিশ্বের বৃহত্তম নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভারতের ১৩টি রাজ্যের ৮৮টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়। ১৬ কোটি ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছে মাত্র ৬১ শতাংশ মানুষ। যা প্রথম দফার ভোটার থেকে ৫ শতাংশ কম। ২০১৯ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় ভোট পড়েছিল ৬৮ শতাংশ।
ভারতের দক্ষিণের রাজ্য কেরালা, কর্ণাটক এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাজ্য রাজস্থানে অর্ধেকের বেশি আসন ছিল। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, শশী থারুর এবং বিজেপির পক্ষে অভিনেত্রী হেমা মালিনীর মতো হেভিওয়েট প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা ও ভোটারদের নানা সুবিধা দিয়েও ভোটার উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কায় রাজনৈতিক দলগুলো।
দেশটির নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি, তীব্র তাবপ্রবাহের কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে। রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে রেকর্ড পরিমাণ তাপপ্রবাহ বইছে। অসহনীয় গরমে ভোটকেন্দ্রে আসছে না অনেক ভোটার।
নির্বাচনী প্রচারণায় বিজেপির হাতিয়ার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি, হিন্দু জাতীয়তাবাদ। বিশ্লেষকদের মতে, টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসতে হিন্দুত্ববাদকে জাগিয়ে তুলেছেন নরেন্দ্র মোদি। তার বিরুদ্ধে এক জোট হয়েছে দুই ডজনেরও বেশি দল। মোদির স্বৈরাচারী শাসনের অবসান চান তারা। তবে প্রাথমিক সমীক্ষায় বেশিরভাগ আসনে এগিয়ে আছে মোদির দল বিজেপি।
সংখ্যালঘু মুসলমানদের পক্ষ নিয়ে ভোট টানতে চাচ্ছে কংগ্রেস। বিজেপির এমন অভিযোগ অস্বীকার করে কংগ্রেস বলছে, ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়িয়ে ভারতের গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলছে বিজেপি। প্রথম দফার ভোটের পর থেকেই সাম্প্রদায়িক ইস্যুতে মুখোমুখি ক্ষমতাসীন ও প্রধান বিরোধী দল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ভোটে টানার মতো শক্তিশালী কোনো ইস্যু নেই বিজেপি ও কংগ্রেসের হাতে। সেইসঙ্গে বেকারত্ব, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, গ্রামীণ দুর্দশার কারণে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। মোদির জাতীয়তাবাদীর ভিত্তিও খুব একটা কাজে আসছে না।
আগামী ৭ মে লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোট হবে ১২টি রাজ্যের ৯৪টি আসনে। সেই লক্ষ্যে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। সবার নজর গুজরাটের ২৬টি আসনের দিকে। কারণ এই রাজ্যে একদফায় ভোটগ্রহণ হবে।