এশিয়া
বিদেশে এখন
0

পাকিস্তানের রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ

নির্বাচনে জালিয়াতির প্রতিবাদে ফুঁসছে ইমরান খানের সমর্থকরা। তারা রাজধানীসহ পেশাওয়ার, কোয়েটার মতো বড় বড় শহরে বিক্ষোভ করছে। খাইবার পাখতুনখোয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছে ২ জন। ইসলামাবাদে এখনও কারফিউ জারি আছে।

ভোটের দু'দিন পার হলেও পূর্ণাঙ্গ ফল ঘোষণা করতে পারেনি পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করলেও ব্যাপক কারচুপি, কেন্দ্র দখল ও জাল ভোট দেয়ার মতো ঘটনার খবর ছড়িয়েছে গণমাধ্যমে। অনেক কেন্দ্রে ঢুকতেই দেয়া হয়নি প্রার্থীর এজেন্টদের। তারপরেও চমক দেখিয়েছেন ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা।

দু'দিন পেরোনোর পরও ফল প্রকাশ না করায় লাহোরে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেছেন পিটিআই প্রার্থী ও সমর্থকেরা। তাদের অভিযোগ, ফলাফলে জালিয়াতির চেষ্টা করছে নির্বাচন কমিশন। তারা ভেতরে বসে জাল ভোট দিচ্ছে, এজন্য পিটিআই এর প্রার্থীকে ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। ওরা জুলুম করছে বলে দাবি ইমরান খানের সমর্থকদের।

লাহোরের একজন পিটিআই প্রার্থী বলেন, 'আমরা ফলের অপেক্ষায় সারারাত এখানে ছিলাম। এখনও অপেক্ষা করছি। কিন্তু এখন খবর পেলাম আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী যে ২০ হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিল, তাকে জেতানোর অপচেষ্টা চলছে।'

শুধু লাহোরই নয়, অস্বাভাবিক ধীরগতির ফল ঘোষণার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছেন ইসলামাবাদ, পেশাওয়ার, কোয়েটার মতো বড় শহরগুলোয়। এর মাঝে খাইবার পাখতুনখোয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান পিটিআই সমর্থকরা। পুড়িয়ে দেয়া হয় যানবাহন। প্রাণ যায় কয়েকজনের। রাজধানী ইসলামাবাদে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।

ইলেকশনের নামে সিলেকশনের অভিযোগ করছেন অনেক পাকিস্তানি। নির্বাচন জয়ে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলুচিস্তানের যে প্রার্থীরা বিজয় উল্লাস করেছেন, রাত না পেরোতেই তাদের চোখে মুখে ছিল হতাশা। কারণ রাত না পেরোতেই পরিবর্তিত ফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

পিটিআইয়ের একজন সমর্থক বলেন, 'আমাদের প্রার্থী জয়ের পথে ছিলেন। আনন্দে আমি সব কষ্ট ভুলে গিয়েছিলাম। কিন্তু সকালে ওঠার পরে দেখলাম ফল পরিবর্তন হয়েছে। বুঝাই যাচ্ছে রাতে কারসাজির মাধ্যমে জনগণের সিদ্ধান্তকে বদলে ফেলা হয়েছে।'

পক্ষপাতমূলক নির্বাচনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। আহ্বান জানানো হয়েছে কারচুপি নিয়ে সুষ্ঠু তদন্তের। ভোটারদের কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেয়ার বিষয়কে দুঃখজনক বলে বিবৃতি দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

এসএস